আ.লীগ ৬৫ বছরে অনেক কিছু অর্জন করেনি, হারিয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজ কার্যালয়ে স্বাগত জানান
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে। ছবি: বাসস
শাবাশ এএসপি বশির!!
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচনের দিন সঠিক দায়িত্ব পালনের কারণে এএসপি বশিরউদ্দীন বাহবা পেয়েছেন। এই ব্যাপারে পাঠক শহীদুল ইসলাম লিখেছেন: গণতন্ত্রের কথা বলে এঁরা দেশে দানবতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন। বড় কষ্ট লাগে, তার পরও এঁরা গণতন্ত্রের বুলি আওড়াচ্ছেন।
মারুফ: যে শামীম ওসমানের কথা ছাড়া নারায়ণগঞ্জে নাকি একটি গাছের পাতাও নড়ে না, সেই শামীম ওসমানকে মুখের ওপর যখন একজন পুলিশ কর্মকর্তা এভাবে নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে অবিচল থাকতে পারেন, তাঁকে সশ্রদ্ধ সালাম জানাই।
সাইফ আল খান: এএসপি বশিরের সাহসিকতা প্রমাণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে দলীয় হস্তক্ষেপের সংস্কৃতি থেকে সরকার বেরিয়ে আসছে...। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ।
হিমু: এএসপি বশিরের পায়ের ধুলার যোগ্য রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগ বা বিএনপি কোনোটাতেই নেই।
মুজতবা জব্বার: যে দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী কিংবা প্রেসিডেন্ট ‘তারেক’ অথবা ‘জয়’ নির্ধারিত, সেই দেশে শামীম ওসমানেরাই তো নেতা হবেন। তাই হওয়া উচিত নয় কি? (ভণ্ড) নেতাদের সমালোচনা করার আগে, আমাদের প্রত্যেকের উচিত নিজেদের সমালোচনাটা আগে করা!
এম এইচ রহমতুল্লাহ: বিচ্ছিন্নভাবে একজন সৎ কিংবা দায়িত্বসম্পন্ন হয়ে কিছুই করতে পারে না। দুর্নীতি আর অনিয়মের শিকড় এখানে অনেক গভীরে প্রোথিত। দুর্নীতিবাজ আর চরিত্রহীনরা এখানে সংঘবদ্ধ। নির্মম বাস্তবতা হচ্ছে, কয়েক বছরের মধ্যেই দেখবেন এই বশির অন্য বশির হয়ে গেছেন। এখনকার এই চমৎকার সদিচ্ছা আর দায়িত্ববোধকে তিনি নিজেই ‘অল্প বয়সের অর্বাচীনতা’ হিসেবে বিবেচনা করছেন। অনেক দেখেছিরে ভাই, এখন আর সহজে আশান্বিত হই না।
নজরুল ইসলাম: স্বাধীনতার ৪৩ বছরে অনেক পুলিশ কর্মকর্তা সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন। কোহিনুর, আকবর, হারুন, বিপ্লব, শিবলী নোমানসহ আরও অনেকে। এএসপি বশিরউদ্দীনও সংবাদ শিরোনাম হলেন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের আগে ফেনীর জেলা প্রশাসক সোলায়মান চৌধুরীও শিরোনাম হয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার আগে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মনোজ কান্তিও পত্রিকায় সংবাদ হয়েছিলেন বনশ্রীর ঘটনায়। পাঠক, মিলিয়ে দেখুন তো কাদের পাশে আমাদের দাঁড়ানো উচিত?
ভারতের চোখে সুষমার ঢাকা সফর ‘চমৎকার সূচনা’
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ভারতের নতুন সরকারের পক্ষ থেকে সুষমা স্বরাজের ঢাকা সফরকে ‘চমৎকার সূচনা’ হিসেবে দেখছে দিল্লি। এ ব্যাপারে পাঠক নীরব লিখেছেন: সেটাই হওয়া উচিত। ভারতের উচিত আমাদের সঙ্গে ভালো প্রতিবেশীসুলভ আচরণ করা। আমাদেরও তা-ই। এতে দুই দেশেরই কল্যাণ হবে।
মাহবুব নুর: মনে হচ্ছে, আমরা এখনো ব্রিটিশ উপনিবেশ যুগে আছি!! রানি এসেছেন—দলে দলে দেখা করার হিড়িক
পড়ে গেছে!!
রুমি: গণতন্ত্রের এহেন হাহাকারের মাঝে, বুশ-তন্ত্রের আবির্ভাব দেখতে পাচ্ছি। আমার সঙ্গে (মিল) থাকলে তুমি ভালো, আমার বিপরীতে (গরমিল) গেলে তুমি খারাপ। আমাদের কী হবে? আওয়ামী লীগই পারে, আওয়ামী লীগই পারবে দলের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ লেখাটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে পাঠক হোসেইন আহামেদ লিখেছেন: আওয়ামী লীগ ৬৫ বছরে অনেক কিছু অর্জন করেনি; বলেন, অনেক কিছু হারিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলার মানুষ এক হয়ে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিল। কিন্তু আজ আপনাদের ডাকে কিছু ভাড়া করা মানুষ ছাড়া আর কেউ আসবে না। এটাই আপনাদের অর্জন।
আলী হায়দার: আ.লীগই পারে এবং আ.লীগই পারবে। আর সেখানেই বাংলার মানুষের ভয়। কী পারবে, কী পেরেছে আর কী পারছে—তা দেশের মানুষ দেখছে। দেশের মানুষ এখন যারপরনাই শঙ্কিত ভবিষ্যতে আ.লীগ আর কী কী উপহার দেবে সেই ভাবনায়।
মারুফ সাদি: মানুষের জীবনে যেমন সাফল্য-ব্যর্থতা থাকে দল হিসেবে আ.লীগেরও সাফল্য-ব্যর্থতা আছে। আশা করি, আগামী দিনগুলোতে আ.লীগ আরও বেশি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিকশিত হবে।
সাইফুল আলম: আ.লীগ পারে তা ঠিক। তবে ইদানীং যা পারছে বা করছে, তা দেখে দেশ ও দেশের মানুষ অবাক। গুম-খুন আর দুর্নীতি নিয়ে যা হচ্ছে, তা এই দলটাকে ডোবাবে একদম পুরোপুরি।
খাদ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় ফরমালিন মেলেনি
সাতটি সরকারি সংস্থা বলছে, বাজার থেকে আমসহ বিভিন্ন ফল ও খাদ্যসামগ্রী কিনে তা পরীক্ষা করে তাতে ক্ষতিকারক মাত্রায় ফরমালিন পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পাঠক হালিম শাহ: যাঁরা পরীক্ষা করে ফরমালিন পাননি বলে ঘোষণা করেছেন, তাঁদের বাচ্চাদের ও তাঁদের নিয়মিত সাধারণ বাজার থেকে ফল কিনে খাওয়ানো হোক। দেশে অন্যান্য শিল্পে যা দরকার, তার তিন গুণ ফরমালিন আমদানি হচ্ছে বলে পত্রিকায় এসেছে। এগুলো খাদ্যে মেশানো না হলে ফল কেন সহজে পচে না—তার একটা ব্যাখ্যা নিশ্চয় এই লোকগুলো দিতে পারবেন।
সুকান্ত: মানুষের লোভ এত বেড়ে গেছে যে, তারা এত দিন যাদের সুখের জন্য দুর্নীতি করত; এখন তাদেরই অসুস্থ বানিয়ে মৃত্যু কামনা করতেও দ্বিধা করছে না!
আউয়ুব: যদি ঘটনা সত্যি হয়, তবে এখানেও একটা ফাঁকি থাকতে পারে। কারণ অসৎ ব্যবসায়ীরা শয়তানের বন্ধু। আর শয়তান সব ধরনের অভিনয়ই করতে পারে। সুতরাং সাম্প্রতিক সাঁড়াশি অভিযানের ফলে এমনও হতে পারে যে, তারা তাদের কার্যক্রম আপাতত শিথিল করেছে! আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতকে ধন্যবাদ, তবে দীর্ঘমেয়াদি তৎপরতা চালাতে হবে আরও জোরালোভাবে, সেই অনুরোধ রাখছি।
রেদওয়ান: কিছুদিন আগেও পত্রিকায় দেখেছি, ফলমূলে অতিরিক্ত পরিমাণে ফরমালিন রয়েছে, যা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আর এখন নতুন করে শোনা যাচ্ছে ফরমালিন কম, নাকি সরকারকে ম্যানেজ করে ফেলেছে তারা। সব কেমন যেন ঘোলা হয়ে যাচ্ছে।...খোলাসা করে বলবেন কি?
সুমিত্রা কুমার পাল: আগামীকাল হয়তো শুনব কোনো ফলেই কোনোকালে ফরমালিন ছিল না। সবই মিডিয়ার প্রপাগান্ডা।
নাসের আহমেদ: খাদ্যে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে কি না, তা বোঝার জন্য যেকোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পাঁচ মিনিট দাঁড়ালেই বুঝতে পারবেন। এত বেশি মানুষ অসুস্থ হচ্ছে কি এমনি এমনি?

No comments

Powered by Blogger.