সীতাকুণ্ডে শিবিরের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার

সীতাকুণ্ডে শিবিরের আস্তানা থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় বোমা তৈরির কারিগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথী বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতা সৃষ্টির জন্য এ বোমা তৈরি করা হচ্ছিল।
পুলিশ জানায়, উপজেলার ভাটিয়ারী মাদামবিবিরহাট খাদেমপাড়া এলাকায় বাচা মিয়া চৌধুরীর ঘর ভাড়া নিয়ে জামায়াত-শিবির আস্তানা গড়ে তোলে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ জানতে পারে শিবিরের ৭-৮ জন প্রশিক্ষিত কারিগর সেখানে বোমা তৈরি করছে। এরপর সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই শফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৫-৬ শিবির ক্যাডার পালিয়ে যায় এবং দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে, আস্তানা থেকে বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
উদ্ধার করা সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে_ এক কেজি গান পাউডার, আধাকেজি পটাশিয়াম, ২শ' গ্রাম ফসফরাস, আধাকেজি ছোট সাইজের তারকাঁটা, লাল স্কচটেপ মোড়ানো বড় ৫টি ককটেল বোমা, বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৭টি মোবাইল সেট, ২০টি সিম, ১০টি স্কচটেপ, ১০টি পাথরের টুকরা, ৩৪টি জর্দার কৌটা, ২টি বড় কিরিচ (রামদা), লোহার পাইপ, ছোট-বড় ৫টি চাকু, ৩টি জ্যামিতি বক্স, প্যারারেট রকেট, ২টি কম্পিউটার, কাঁধে ঝোলানো ৬টি ব্যাগ, নিষিদ্ধ জিহাদি বই, কলেজের কয়েকটি আইডি কার্ড ইত্যাদি।
গ্রেফতার শিবির ক্যাডাররা হলো_ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ওয়ালি উল্লাহ। সে নওগাঁর মান্দা উপজেলার বালুবাজার চক কেশব মাস্টারবাড়ী এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে। অপর জন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র জয়নাল আবেদীন। সে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সমবায় বাজার পালগিরি গ্রামের নুর আহমদের ছেলে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ইফতেখার হাসান বলেন, মহাসড়কে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে তারা ককটেল তৈরি করছিল।

No comments

Powered by Blogger.