সারিন গ্যাস কী?

সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ সরকার দেশটির বিদ্রোহীদের ওপর নিষিদ্ধ প্রাণঘাতী সারিন গ্যাস ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের পরাশক্তিগুলো। এ গ্যাস জাতিসংঘের নিরাপত্তা সনদ ৬৮৭ অনুযায়ী গণবিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত।
জার্মানির কয়েকজন রসায়নবিদ শক্তিশালী কীটনাশকের জন্য গবেষণা করতে গিয়ে কাকতালীয়ভাবে সারিন গ্যাস আবিষ্কার করেন। এর নামকরণও তাদেরই করা। কিন্তু জার্মানির সেনাবাহিনী ১৯৩৯ সালে একে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়।
প্রাণঘাতী সারিন গ্যাস বর্ণ ও গন্ধহীন। অর্থাৎ এটি ছাড়া হলে তা দেখা যাবে না বা গন্ধ থেকে আগে ধরা যাবে না। গ্যাসটি মানুষের ত্বকের মধ্য দিয়ে শরীরে ঢুকে পড়ে। এর পর ফুসফুসের পেশিকে অকার্যকর করে দেয়। ফলে মানুষ নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যায়। কোনো কারণে মৃত্যু না হলেও ফুসফুস, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি হয়। বাতাসের চেয়ে ভারী এ গ্যাস আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যমান থাকতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ শীর্ষ নিয়ন্ত্রণবিষয়ক প্রতিষ্ঠান সিডিসি জানিয়েছে, সারিন গ্যাস খাদ্য ও পানি সরবরাহকে দূষিত করতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সারিন গ্যাস ভয়াবহ সায়ানাইড বিষের চেয়েও ২৬ গুণ বেশি প্রাণঘাতী। এক বিন্দু পরিমাণ গ্যাসই একজন মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.