মাওবাদীদের ঐক্য ফিরিয়ে আনতে পারবেন বাবুরাম?

হিমালয়ের দেশ নেপালের ৩৫তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বাবুরাম ভট্টরাই গতকাল সোমবার শপথ নিয়েছেন। গত রোববার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পরপরই দেশে কয়েক দশকের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির অবসান ঘটানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ৫৭ বছর বয়সী এই মাওবাদী নেতা।
পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ডের পর দেশটির দ্বিতীয় মাওবাদী নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ভট্টরাই ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়েছেন। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাওবাদী নেতা প্রচণ্ডর আমলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে তিনি বেশ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। তা ছাড়া নিজের ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছিলেন। তাই নেপালবাসী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
ষোড়শ শতাব্দীতে নেপালের গুর্খা সম্প্রদায়ের মধ্যে রাজা বাছাইয়ের একটি সহজ রীতি ছিল। যাঁরা রাজা হতে ইচ্ছুক, তাঁদের নিয়ে একটি দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হতো। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকারীই রাজার মুকুট লাভ করতেন। সেই গুর্খা সম্প্রদায়েরই একজন আজকের এই বাবুরাম ভট্টরাই।
১০ বছরব্যাপী গৃহযুদ্ধের সময় পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ডর বিরাগভাজন হয়ে মাওবাদী দল থেকে বহিষ্কৃতও হন বাবুরাম। তাঁকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি বাড়িতে কার্যত গৃহবন্দী করে রাখা হয়। দলের কার্যক্রম নিয়ে প্রচণ্ডের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য এখনো রয়েছে।
সম্প্রতি তাঁরা নিজ নিজ সমর্থকদের নিয়ে আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। প্রচণ্ড অন্যান্য দলের সঙ্গে জোট গড়ে ভট্টরাইয়ের বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন দেন। এ কারণে মাওবাদীদের একটা বড় অংশ ভট্টরাইকে পছন্দ করবে না।

No comments

Powered by Blogger.