চীনের বিমানবাহী রণতরী নিয়ে উদ্বেগে প্রতিবেশীরা

চীনের বিমানবাহী রণতরীতে প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রতিবেশী দেশগুলো। গতকাল বৃহস্পতিবার চীনের সামরিক বাহিনী বলছে, সমুদ্রসীমার নিরাপত্তার জন্য এ কর্মসূচি চীনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
চীন প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য পুরোনো একটি বিমানবাহী রণতরী মেরামতের কথা নিশ্চিত করে গত বুধবার। একটি সূত্র জানায়, দেশটি দুটি বিমানবাহী রণতরী তৈরিও করছে। লিবারেশন আর্মি ডেইলির সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে চীন এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্পাদকীয়তে বলা হয়, চীন পশ্চিমা শক্তির হাতে কয়েক শতাব্দী ধরে অবমাননার শিকার হয়ে আসছে। কিন্তু চীনের মানুষ সাগরের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেনি। এখন সেই ধারায় পরিবর্তন এসেছে। যুক্তরাষ্ট্র যখন তাদের বাজেট কমানোর ব্যাপারে আলোচনা করছে, তখন চীন সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে।
গত বছর সাগরে চীনের সঙ্গে জাপান, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইনের নানা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এগুলো ছোটখাটো বিষয় হলেও দেশগুলোর পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলে।
জাপানের চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ইউকিয়ো ইডানো বলেন, চীনের প্রতিরক্ষানীতি ও সামরিক শক্তিবৃদ্ধি শুধু জাপানের জন্য নয়, এ অঞ্চল ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
চলতি সপ্তাহে ২০১২ সালের বাজেট কংগ্রেসে উত্থাপন করেছে ফিলিপাইন সরকার। এতে তারা সামরিক ব্যয় স্থানীয় ৫০০ কোটি পেসো থেকে বাড়িয়ে ৮০০ কোটি পেসো (১৯ কোটি মার্কিন ডলার) করার প্রস্তাব দিয়েছে। ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট ফর পিস, ভায়োলেন্স অ্যান্ড টেরোরিজম রিসার্চের নির্বাহী পরিচালক রোমেল বানলাউই বলেন, চীনের রণতরীতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তাদের সামরিক বাহিনী আধুনিকায়নের অংশ। এই আধুনিকায়নের সঙ্গে ফিলিপাইন তাল মেলাতে পারবে না।

No comments

Powered by Blogger.