আমি স্বৈরাচারী নই: ব্ল্যাটার

ফুটবলে আলোচিত বিতর্কগুলোর একটি গোললাইন বিতর্ক। সেই ১৯৬৬ বিশ্বকাপে জিওফ হার্স্টের শটে বল গোললাইন পেরিয়েছিল কি না, এ নিয়ে এখনো বিতর্ক চলে। জার্মানির বিপক্ষে সেই ম্যাচে গোললাইন না পেরোলেও গোলের বাঁশি বেজেছিল ইংল্যান্ডের পক্ষে। কী কাকতালীয় ব্যাপার, গত বিশ্বকাপে সেই জার্মানির বিপক্ষেই ইংল্যান্ডের ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের নেওয়া শটে বল গোললাইন পেরিয়ে গেলেও রেফারি বাঁশি বাজাননি। ইতিহাসের কী বিচার!
ভবিষ্যতে এমন বিতর্ক যাতে না হয় সে জন্যই গোললাইন প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রস্তাব উঠেছে। এবার সেপ ব্ল্যাটারও ইঙ্গিত দিলেন, ২০১৪ বিশ্বকাপেই থাকতে পারে গোললাইন প্রযুক্তি। বল লাইন পেরিয়েছে কি না, সেটি নিখুঁতভাবে জানিয়ে দেবে প্রযুক্তিই। ফিফা সভাপতি বলেছেন, ‘আগামী মার্চে আমরা গোললাইন প্রযুক্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। যদি এটা নির্ভুল হয় এবং যদি খুব বেশি ব্যয়বহুল না হয়, তাহলে আগামী বিশ্বকাপেই সেটা থাকতে পারে।’
আগামী মার্চে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবে ফিফা। এরই মধ্যে উয়েফা আরও দুই অতিরিক্ত সহকারী রেফারির ব্যবহার শুরু করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচ এখনো দুই সহকারী দিয়েই হয়। গোলপোস্টের পাশে আরও দুই সহকারী রেফারি রাখা হবে কি না, এ ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেবে ফিফা।
বিশ্বকাপ-সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে ব্রাজিলে এসেছেন ব্ল্যাটার। সেখানেই সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তিনি আসলেই স্বৈরাচারী কি না, এর মধ্যে তাঁকে এই উত্তরও দিতে হয়েছে। তাঁরই এককালের ডেপুটি মোহাম্মদ বিন হাম্মাম তুলেছেন এই অভিযোগ। পৃথিবীর অন্যসব স্বৈরাচারের মতো ব্ল্যাটারও নাকি তাঁর বিরোধীদের শেষ করে দিতে চান। একই সঙ্গে জার্মানির সাবেক তারকা কার্ল হেইঞ্জ রুমেনিগেও ব্ল্যাটারসহ ফিফার বর্তমান নেতৃত্বের কঠোর সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, এসব ‘দুর্নীতিগ্রস্ত অসৎ’ কর্মকর্তাদের হাত থেকে ফুটবলের নিয়ন্ত্রণের ভার ক্লাবদের নিয়ে নেওয়া উচিত।
হাম্মামের মন্তব্যের ব্যাপারে তাঁর জবাব, ‘আমি তো আর একাই সব সিদ্ধান্ত নিই না, আমার পক্ষে তাই স্বৈরশাসক হওয়া সম্ভব নয়। নির্বাহী কমিটি আছে, ফিফার নিজস্ব প্রশাসন আছে, একই সঙ্গে আমাদের অনেক উপদেষ্টাও আছেন। আমি সবার সঙ্গে মিলেই কাজ করি।’
তবে রুমেনিগের মন্তব্যের সরাসরি কোনো জবাব দেননি ব্ল্যাটার। রুমেনিগের সঙ্গে কোনো বিতর্কে জড়াতে চান না বলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেছেন।

No comments

Powered by Blogger.