অধিনায়ক আফ্রিদি আর নয়

শহীদ আফ্রিদি কি আবারও পাকিস্তানের অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন? হয়তো হ্যাঁ, হয়তো না। তবে দেখলেও সেটা সত্যি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে, ইজাজ বাট যত দিন পিসিবির চেয়ারম্যান পদে আছেন। পরশু জিয়ো সুপার টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবারও আফ্রিদির অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনাকে এক রকম নাকচই করে দিয়েছেন বাট। তবে খেলোয়াড় আফ্রিদির জন্য দরজা খোলাই রেখেছেন পিসিবির চেয়ারম্যান।
‘আমি যত দূর জানি, পিসিবির অধিনায়ক পরিকল্পনায় সে আর নেই। (খেলোয়াড় হিসেবে) সে আগে ভালো করেছে, কোনো সন্দেহ নেই পাকিস্তানের জন্য সে ভালোই ছিল।’
গত মে মাসে বোর্ডের সঙ্গে ঝামেলায় ‘শর্তাধীন’ অবসর নেন আফ্রিদি। বলেছিলেন, পিসিবির বর্তমান কমিটি সরে গেলেই আবার দলে ফিরবেন। পিসিবি তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিলসহ বিদেশে খেলতে অনাপত্তিপত্র দিতেও অস্বীকার করেছিল। ঝুলে গিয়েছিল হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে তাঁর টি-টোয়েন্টি লিগে খেলাও। পরে অবশ্য দোষ-ঘাট স্বীকার করে ৪৫ লাখ রুপি জরিমানা দেওয়ার শর্তে ইংল্যান্ডে খেলার অনুমতি পান আফ্রিদি।
ওই সময়ে নাকি অনেক রাজনীতিকও আফ্রিদির যাতে শাস্তি না হয়, সে চেষ্টা করেছিলেন। যাঁদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও সিন্ধু প্রদেশের গভর্নরও। তাঁরা ফোন করেছিলেন ইজাজ বাটকে। তবে তিনি নাকি তাঁদের সরাসরিই এ ব্যাপারে নাক গলাতে নিষেধ করেছিলেন।
নতুন এই তথ্য জানার পর তা নিয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করেছেন আফ্রিদি। টি-টোয়েন্টি খেলতে বর্তমানে ইংল্যান্ডে থাকা এই অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘ও নিয়ে (বাট ও পিসিবি) ভাবতেই চাই না।’ তাঁর সমস্ত মনোযোগ এখন শুধুই ক্রিকেটে, ‘আমি খেলাটিকে উপভোগ করছি ও চাচ্ছি না কেউ এতে ব্যাঘাত ঘটাক।’
তা তিনি চাইতেই পারেন। কাউন্টিতে সময়টা ভালো যাচ্ছে। হ্যাম্পশায়ারের হয়ে খেলা ছয় ম্যাচের তিনটিতেই ম্যাচসেরা হয়েছেন। এরপর খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশেও। তবে গতবারের অ্যাডিলেড নয়, এবার মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে খেলবেন। সেখানে সঙ্গী হিসেবে পাবেন আরেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আবদুল রাজ্জাককে।

No comments

Powered by Blogger.