কখনো ভারত, কখনো উইন্ডিজ

৫ উইকেটে ৯৯ থেকে ২০৪ অনেক রান। আবার ৬ উইকেটে ১৯৯ থেকে নিতান্তই কম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস এমনই মিশ্র অনুভূতির গল্প। এর সবই গত পরশু দ্বিতীয় দিনের ঘটনা, ভারত যে দিন শেষ করেছিল বিনা উইকেটে ৮ রানে।
তৃতীয় দিনের শুরুতে ৫.২ ওভারের মধ্যে মুরালি বিজয় ও রাহুল দ্রাবিড়কে হারিয়ে যে মেঘের পূর্বাভাস, সেটি দূর করেছিল অভিনব মুকুন্দ ও ভেঙ্কট লক্ষ্মণের ব্যাট। তৃতীয় উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। তবে লাঞ্চ থেকে চা-বিরতি পর্যন্ত আবার ভিন্ন গল্প। মুকুন্দ, লক্ষ্মণ ও কোহলিকে আউট করে ২৭ ওভারের সেশনটিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিজেদের করে নিয়েছে। ৩ উইকেটের বিনিময়ে এই সেশনে উইন্ডিজ বোলাররা রান দিয়েছেন ৫৩।
প্রথম সেশনের ধাক্কাটা ভারতকে দিয়েছিলেন ফিদেল এডওয়ার্ডস ও ড্যারেন স্যামি। দ্বিতীয় সেশনে স্যামির সঙ্গে ছিলেন বিশু ও চন্দরপল। বিশু ফিরিয়েছেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে চলা মুকুন্দকে। টেস্টে চন্দরপলের নবম শিকার লক্ষ্মণ। স্যামি নিয়েছেন ২ উইকেট।
এই রিপোর্ট লেখার সময় ভারত চা-বিরতিতে গেছে ১৮২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে। ব্যাট করছিলেন সুরেশ রায়না (৯*) ও অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি (৪*)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে দুটি হাফ সেঞ্চুরি। বলার মতো জুটিও দুটিই। দুই হাফ সেঞ্চুরিয়ান ব্রাভো ও বাফ মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ৫৯। ব্রাভোর বিদায়ের পর স্যামির সঙ্গে বাফের ৪১।
হাফ সেঞ্চুরি দুটি চরিত্রে পুরো দুই মেরুর। ১৩৪ বলে ব্রাভোর ৫০। বাফের ৬০ রান মাত্র ৭৯ বলে। ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংয়ের সেই পরিচিত ঝলক দেখিয়ে ৬টি চার ও ১টি ছয়। ফিফটি হলে সেঞ্চুরি করতে না পারার দুঃখ থাকেই। ব্রাভোর দুঃখটা একটু বেশিই। অষ্টম টেস্টে ষষ্ঠ ফিফটি, কিন্তু তিন অঙ্ক হয়ে থাকছে সেই মরীচিকাই।

No comments

Powered by Blogger.