ফুটবল ও ফ্লাডলাইট সমাচার

বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল কি তাহলে আর ফ্লাডলাইটের আলোয় হবে না? প্রশ্নটি উঠে পড়ছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব শফিক আনোয়ারের কথায়। তিনি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এবং অতি জরুরি না হলে ফ্লাডলাইটে খেলা চালানো যাবে না। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে। এখন ফ্লাডলাইটে খেলার অনুমতি দিলে আমাকে তো হাইকোর্টে গিয়ে দাঁড়াতে হবে।’
প্রসঙ্গটা এসেছে বাংলাদেশ লিগে গতকালের নির্ধারিত শেখ জামাল ধানমন্ডি ও শেখ রাসেল ম্যাচটি একটু পিছিয়ে যাওয়ায়। হরতালের কারণে ম্যাচটি বিকেল সোয়া চারটার পরিবর্তে রাত ৮টায় শুরু করতে চেয়ে ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিয়েছিল বাফুফে। যেহেতু ফ্লাডলাইট ব্যবহার করতে হবে, সেজন্যই এনএসসির সহযোগিতা প্রয়োজন ছিল। এনএসসি ফ্লাডলাইট ব্যবহার করা যাবে না জানিয়ে দেওয়ায় কাল বিকেল সাড়ে তিনটান ম্যাচটি পরদিন অর্থাৎ আজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানায় বাফুফে।
ফ্লাডলাইটে এই সেদিনও ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচ হয়েছে। কিন্তু কখনো হাইকোর্টের নির্দেশের ব্যাপারে কিছু শোনা যায়নি। এমনকি গত ২০ এপ্রিল ফ্লাডলাইটের খেলা না চালানোর জন্য বাফুফেকে দেওয়া চিঠিতে এনএসসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কথা বলেছিল। এখন হাইকোর্টের রায়ের কথা শুনে বাফুফের পেশাদার লিগ ম্যানেজার আবু নাইম সোহাগ বললেন, ‘হাইকোর্টের এমন কোনো নির্দেশনার ব্যাপার বাফুফে অবগত নয়।’

No comments

Powered by Blogger.