আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস’

‘বিশ্বকাপের ফাইনালে আপনি শতরান হাঁকালেন, আপনার দল জিতল না, কিন্তু আপনি ৯৯ রানে আউট হলেন, আপনার সেই ৯৯ দলকে বিশ্বকাপ জিততে সহায়তা করল, তাহলে সেই শতরানের চেয়ে ৯৯ রানই আমার কাছে বেশি প্রার্থিত’—বিশ্বকাপ ফাইনালে দারুণ কঠিন এক পরিস্থিতিতে ৯৭ রানের ইনিংস খেলে দেশকে বিশ্বকাপ জিততে সহায়তা করেছেন গৌতম গম্ভীর। তাঁর মুখে এমন কথাই বেশি মানায়।
মুম্বাইয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে এক নিদারুণ কঠিন পরিস্থিতি পুরো দেশের প্রত্যাশার ভার উঠে গিয়েছিল দিল্লির দুই তরুণ গম্ভীর ও বিরাট কোহলির কাঁধে। এ দুজনের যেকোনো একজনও যদি তাড়াতাড়ি ফিরে যেতেন, তাহলে ম্যাচের চেহারা সম্পূর্ণ অন্য রকম হয়ে যেত। এই দুই তরুণ তেমনটি হতে দেননি। ৮৩ রানের এক গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে দেশকে সহায়তা করেছেন ২৮ বছর পর অধরা শিরোপা হাতের মুঠোয় নিয়ে নিতে।
এই ইনিংসটিতে তাই একটু অন্য রকমই মনে হতে বাধ্য গম্ভীরের। যদিও তিনি শেষ পর্যন্ত ফাইনালে সেঞ্চুরি করা এক ঐতিহাসিক অথচ সংক্ষিপ্ত তালিকায় নিজের নাম ওঠাতে পারেননি। কিন্তু, তিনি দিন শেষে দারুণ সন্তুষ্ট দেশের বিশ্বকাপ জয়ে তাঁর দিক দিয়ে অবদান রাখতে পেরে।
ফাইনালের ৯৭ রান তাঁর জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় ইনিংস কি না, গম্ভীরের কাছে জানতে চেয়েছিলেন সংবাদকর্মীরা। গম্ভীর এটিকে তাঁর সবচেয়ে স্মরণীয় কিংবা সেরা ইনিংস কোনোটিই বলেননি। বলেছেন, তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস হিসেবে।
মাত্র তিন রানের জন্য শতরান মিস করেও কোনো আক্ষেপ নেই গম্ভীরের। তাঁর মতে, ‘বিশ্বকাপ ট্রফি ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। তাই শতরান করতে না পেরে আমার কোনো দুঃখ নেই।

No comments

Powered by Blogger.