‘পাকিস্তানকে ধারাবাহিক হতে হবে’

পাকিস্তানি দলের ক্রিকেট প্রতিভা নিয়ে কারোরই কোনো সন্দেহ নেই। নিজেদের দিনে এঁরা যে বিশ্ব জয় করে ফেলতে পারে তাঁর সবচেয়ে বড় প্রমাণতো ৯২’র বিশ্বকাপ কিংবা ২০০৯’র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বড় ক্যানভাসের প্রতিযোগিতায় দলটি সবসময় ভালো খেলে বলে পাকিস্তান দলকে বড় ম্যাচের ক্রিকেট দল হিসেবেও কেউ কেউ অভিহিত করে থাকেন।
প্রতিভাবান হলেও ধারাবাহিকতার অভাব দলটির সবচেয়ে বড় চিহ্নিত সমস্যা। এর পাশাপাশি নানা ধরনের রাজনৈতিক ও দলীয় অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো তো রয়েছেই। এবারের বিশ্বকাপে খেলতে আসার আগের ছয় মাস পাকিস্তানি ক্রিকেটের ওপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় বয়ে গেছে। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে ক্রিকেট থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন পাকিস্তান দলে তিন সেরা ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। বিশ্বকাপে দলটি খেলতে এসেছিল ফেবারিটের তকমা ছাড়াই। অনেকেতো আফ্রিদির দলের কোনো সম্ভাবনাই দেখতে চাননি। তারপরেও বিশ্বকাপ শুরুর পর সেই দলটিকেই অন্যরকম মনে হচ্ছে অনেক ক্রিকেটবোদ্ধাদের। নিজেদের প্রথম দুটো ম্যাচে জিতে ক্রিকেটবোদ্ধাদের সেই পর্যবেক্ষণও মনে হচ্ছে একেবারে নির্ভুল।
প্রথম দুটো ম্যাচে পাকিস্তান দল দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের একটা সম্ভাবনা তৈরি করায় খুশি অধিনায়ক আফ্রিদিও। তবে তিনি সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, বিশ্বকাপের মতো আসরে ধারাবাহিকতার কোনো বিকল্প নেই। তিনি সাফল্যের জন্য নিজ দলের খেলোয়াড়দের আরো ধারাবাহিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
কানাডার বিপক্ষে পরের ম্যাচ নিয়েও সিরিয়াস আফ্রিদি। বলেছেন, প্রথম দুটো ম্যাচের পারফরম্যান্স এই ম্যাচেও ধরে রাখতে হবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে দারুণ খুশি অধিনায়ক আফ্রিদি। এই জয়কে তিনি ‘দুর্দান্ত জয়’ হিসেবেই আখ্যা দিয়েছেন তিনি। এই দুর্দান্ত জয়ের পর তাঁর মূল চিন্তা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। আফ্রিদির মতে, সবাইকে পারফর্ম করতে হবে। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নিজেরা পারফর্ম করার কোনো বিকল্প নেই।
আগামী ম্যাচেই দলে একটি পরিবর্তন আসতে পারে। বাঁ-হাতি স্পিনার আবদুর রেহমানের জায়গায় দলে ঢুকতে পারেন অফ স্পিনার সাঈদ আজমল। পরিবর্তন যাই হোক, আগামী ম্যাচগুলোতে দল যেন ভালো খেলে-এই মুহূর্তে আফ্রিদির কামনা সেটাই।

No comments

Powered by Blogger.