বার্সায় গার্দিওলারই বিস্ময়

খু-উ-ব সহজ। গোল করা, প্রতিপক্ষকে দুমড়েমুচড়ে দেওয়া—বার্সেলোনার জন্য সবকিছুই খুব সহজ। গত পরশু এমনই সহজভাবেই নগর প্রতিপক্ষ এসপানিওলকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিল বার্সা।
এসপানিওল এ মৌসুমে একটি অহংবোধ নিয়েই এগোচ্ছিল। পরশু বিপর্যস্ত হওয়ার আগে নিজেদের মাঠে ৭টি লিগ ম্যাচেই জয়, অথচ বার্সেলোনার বিপক্ষে ঠিকই বিধ্বস্ত! লিগে বার্সেলোনার এটি টানা দশম জয়। প্রতিপক্ষের মাঠে যেন আরও বেশি দুর্বার, ৮ ম্যাচের ৮টিতেই জয়।
আগের ৬ ম্যাচে ১০ গোল করা আর্জেন্টাইন প্লে-মেকার লিওনেল মেসি কোনো গোল পাননি। তবে গোল করিয়েছেন ঠিকই। বার্সেলোনার ৫ গোলের ৪টিতেই তাঁর অবদান। ডেভিড ভিয়ার জোড়া গোল এবং পেদ্রোর জোড়া গোলের প্রথমটিতে সরাসরি অবদান রেখেছেন। পেদ্রোর দ্বিতীয় গোলটিতেও ছিল পরোক্ষ অবদান। শুধু ৩০ মিনিটে জাভির করা বার্সার দ্বিতীয় গোলটিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ছোঁয়া নেই মেসির পায়ের।
১৮ মিনিটে বার্সাকে এগিয়ে দিয়েছিল পেদ্রোর গোল। ৬১ মিনিটে তাঁর দ্বিতীয় গোলটির আগে দেখা গেছে মেসি-জাদু। দুরন্ত গতিতে ড্রিবলিং করে প্রতিপক্ষের তিনজনকে পেছনে ফেরে শট নিয়েছিলেন, সেটি গোলরক্ষকের হাত ফসকে গেলে সেটি গোলে পাঠান পেদ্রো। মিনিট দুই পর একটি গোল ফিরিয়ে দেন অসভালদো। মেসির দুটি থ্রু বল থেকে ৮ মিনিটের মধ্যে (৭৬ ও ৮৪) ভিয়া লিগে তাঁর ১০ ও ১১ নম্বর গোল দুটি করে বার্সাকে আরেকটি বড় জয় এনে দেন।
১৬ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট পয়েন্ট-তালিকার শীর্ষে থেকেই বছর শেষ করছে বার্সেলোনা। ৫১ গোল দিয়ে খেয়েছে ৯টি। এর মধ্যে সর্বশেষ ৫ ম্যাচে ২৬ গোল দিয়ে মাত্র ১টি। কাল রাতে সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগে ১৫ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ।
দলের পারফরম্যান্সে বার্সা কোচ পেপ গার্দিওলা পর্যন্ত মুগ্ধ, ‘এই দলটি আমাকে বিস্মিত করেই যাচ্ছে। এত বড় জয়, অথচ এ মৌসুমে এসপানিওল এর আগে নিজেদের মাঠে মাত্র দুটি গোল খেয়েছে।’
সিরি ‘আ’তে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দল এসি মিলান নিজেদের মাঠে ১-০ গোলে হেরে গেছে এএস রোমার কাছে। গোলটি করেছেন মিলানেরই সাবেক খেলোয়াড় মার্কো বরিয়েল্লো। হেরেও অবশ্য ১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে মিলান। জুভেন্টাস, নাপোলি ও লাৎসিও তিন দলেরই ১৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট। পয়েন্ট টেবিলে এই তিন দলকে আলাদা করেছে গোল-পার্থক্য।

No comments

Powered by Blogger.