আফগান রূপকথার আরেক পর্ব

১৩৩টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলা কেনিয়ার অভিজ্ঞতার ভান্ডারে আছে চারটি বিশ্বকাপ; তার মধ্যে ২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট তারা। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাও নিতান্ত কম নয়। তুলনায় আফগানিস্তানের ক্রিকেটের এখনো শৈশবকাল। এএফপি, ক্রিকইনফো।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাঁটি হাঁটি পা পা করতে থাকা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে অভিষেকই হয়েছে এই ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে। আর সেখানেই কেনিয়াকে স্রেফ উড়িয়ে দিল আফগানরা। অধিনায়ক নওরোজ মঙ্গলের ১৬৮ রান ও দুই ইনিংসে পেসার হামিদ হাসানের ১১ উইকেটের কল্যাণে স্বাগতিক কেনিয়াকে পরশু ১৬৭ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ে সর্বোচ্চ ৯৭ পয়েন্ট নিয়ে চার দিনের ম্যাচের এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে চলে গেছে তারা। সেখানে প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।
নবাগত আফগানদের কাছে এই ‘অপমান’ হজম করতে না পেরে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছেন মরিস ওউমা। ওউমারই ডেপুটি জিমি কামান্ডে হয়েছেন নতুন অধিনায়ক।
ওউমার প্রতিক্রিয়াটা একটু বেশিই মনে হবে যখন জানবেন, হল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, স্কটল্যান্ড, কেনিয়া টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর পর ক্রিকেটের পরাশক্তি বলতে যাদের বোঝায়, সবাই-ই হেরেছে আফগানিস্তানের কাছে।
বিশ্ব ক্রিকেটের দ্বিতীয় সারির দলগুলো, যাদের ভবিষ্যতে টেস্ট পরিবারে দেখা যেতে পারে, তাদের নিয়ে আইসিসি ২০০৪ সাল থেকে শুরু করেছে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ নামের এই প্রথম শ্রেণীর টুর্নামেন্ট। প্রথম বছর টুর্নামেন্ট জিতেছিল স্কটল্যান্ড। আর পরের তিন বছরের চ্যাম্পিয়ন আয়ারল্যান্ড এবার ফাইনালেই উঠতে পারেনি।
টুর্নামেন্টের পরিসংখ্যান ফাইনালে আফগানিস্তানকেই ফেবারিটের তকমা পরাচ্ছে। ছয় ম্যাচের ৫টিই তারা জিতেছে, বাকি ম্যাচটিও ড্র করেছে জিম্বাবুয়ে একাদশের বিপক্ষে। আফগানিস্তানের কোচ, সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক রশিদ লতিফ নিজের দলকেই ফেবারিট বলছেন।

No comments

Powered by Blogger.