মাঠেও রং ছড়াতে চায় ব্রাদার্স

ঢোলের সঙ্গে ব্যান্ড পার্টি, পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ি, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা আর মোটর শোভাযাত্রা। ব্রাদার্স ইউনিয়ন কাল দলবদল সারতে বাফুফে ভবনে এল উৎসবের রং ছড়িয়ে।
বাংলাদেশ লিগের দলবদল এবার নিষ্প্রাণই যাবে বলে মনে হচ্ছিল। গত কয়েক দিনে সাদামাটাভাবে খেলোয়াড়-নিবন্ধন কাজ সেরে বাফুফে থেকে ফিরে গেছে দেশের অন্যতম বড় ক্লাব আবাহনী ও নবাগত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মাঝখানে দুদিন ফুটবল ফেডারেশনের কেটেছে অলস সময়। কিন্তু কাল আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠতে হলো। হঠাৎ করেই কমলা রঙের পতাকা নিয়ে, গলায় ফুলের মালা পরে, সমর্থকদের পুষ্পবৃষ্টিতে ভিজে বাফুফে ভবনে এলেন ব্রাদার্সের ২০ জন স্থানীয় খেলোয়াড়। ছিলেন ১৪-১৫ জন বিদেশি খেলোয়াড়ও, যাঁদের বেশির ভাগই ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়।
একটু বাজিয়ে দেখে নিবন্ধন করার জন্য ব্রাদার্স ২৪ জন বিদেশি খেলোয়াড়ের মেলা বসিয়ে ফেলেছে। আপাতত ব্রাজিলিয়ান স্টপার ড্যানিলো ও অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার এভারটনকে মনে ধরলেও তাঁদের সই করায়নি। দু-এক দিনের মধ্যেই আরও তিনজনকে চূড়ান্ত করে নাম নিবন্ধন করা হবে বলে জানালেন ব্রাদার্স ফুটবল দলের ম্যানেজার আমের খান। নতুন কমিটি গত মাসেই দায়িত্ব নিয়ে ঘর গুছিয়ে ফেলেছে ব্রাদার্সের। ঘরের ছেলে ইউসুফ, রাসেল, আসিফদের সঙ্গে কবির, লিটনদের নিয়ে গড়া দলটা ভালো করবে বলেই বিশ্বাস কর্মকর্তাদের। ক্লাবের নতুন সভাপতি নজরুল ইসলাম জানালেন, ‘চমক দিতে চাই আমরা।’ দলবদলের এই রং ফেডারেশন কাপে তো বটেই, বাংলাদেশ লিগেও দেখাতে চায় ব্রাদার্স।
গত মৌসুমে বিয়ানীবাজারে খেলা মিডফিল্ডার ফয়সাল মাহমুদকে প্রথমে নিয়েও পরে নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। বিয়ানীবাজার থেকে তিনি ছাড়পত্র পাননি এখনো। বিষয়টিকে বিয়ানীবাজারের অভ্যন্তরীণ কোন্দল বলে দাবি করলেন ম্যানেজার আমের খান, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই ওকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তবে এখনো এক দিন বাকি আছে, দেখা যাক কী হয়।’
স্থানীয় খেলোয়াড়দের নাম নিবন্ধনের শেষের আগের দিন কাল আনুষ্ঠানিকতা সেরেছে আরও দুটি ক্লাব—মুক্তিযোদ্ধা ও ফেনী সকার। ব্রাদার্সের মতো মুক্তিযোদ্ধারও নতুন কমিটি। দুই বিদেশি বুকোলা ওলালেকান ও পল এমানুয়েলকে নিয়েছে তারা। সঙ্গে আবাহনীর বিপ্লব ভট্টাচার্য, রজনীকান্ত, মতিউর মুন্না, ওবায়দুরসহ মোট ২৪ জন আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযোদ্ধার হয়ে গেলেন। কর্মকর্তাদের দাবি, মিডফিল্ডার এনামুল হক শরীফ তাঁদের কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়েও মোহামেডানের সঙ্গে অনুশীলন করছেন। শরীফও এটি স্বীকার করে বললেন, ‘আমি মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে টাকা নিলেও সেটা ফেরত দিয়ে দেব।’ মুক্তিযোদ্ধার পর ফেনী সকার ২৩ জন খেলোয়াড়ের নাম নিবন্ধন করিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.