র‌্যাঙ্কিং পছন্দ হচ্ছে না হাসির

একসময় র‌্যাঙ্কিংটাও শাসন করেছে তারাই। দীর্ঘদিন এক নম্বর জায়গাটি ছিল তাদের জন্য বাঁধা। টেস্টে এক নম্বরে অস্ট্রেলিয়াকে দেখতে দেখতে ক্লান্ত প্রতিপক্ষদের অনুভূতিটা সুখকর ছিল না নিশ্চয়ই। সেই অস্ট্রেলিয়া যখন নেমে গেল পাঁচে, বাকিদের জন্য অভিজ্ঞতাটা যত আনন্দেরই হোক, অস্ট্রেলীয়দের হজম করতে কষ্ট হচ্ছে বৈকি।
টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের পদ্ধতিটা নিয়েই যেমন প্রশ্ন উঠেছে মাইক হাসির মনে, ‘আমরা বিশ্বের পঞ্চম দল, এটা মেনে নিতে পারছি না। আমাদের দলের যোগ্যতার সার্থক প্রতিফলন র‌্যাঙ্কিংয়ে হচ্ছে না। পাঁচ নম্বর বলতে যা বোঝায়, আমরা অবশ্যই এর চেয়ে যোগ্য দল। আমি এটার সঙ্গে একমত হতে পারছি না।’
হাসিও মানছেন, সুদিনের হাসি সব সময় সবার ঠোঁটে থাকে না। তাঁর নিজের কথাই ধরুন। টেস্ট ক্যারিয়ারটা শুরু হয়েছিল কী দুর্দান্তভাবে। একটা সময় তাঁর ব্যাটিং গড় তো পৌঁছে গিয়েছিল ৮৫-এর ঘরে। সব মিলে এখনো ব্যাটিং গড় ভালোই আছে। কিন্তু গত সাত ইনিংসে একটি ফিফটিও না পাওয়ার পর কথা উঠেছে, টেস্ট ছেড়ে এখন শুধু ওয়ানডেতেই মনোযোগ দেওয়া উচিত হাসির। অনেকে চোখে আঙুল তুলে দেখাচ্ছেন, তাঁর বয়স ৩৬ চলছে।
হাসি অবশ্য জানালেন, এসব কথা তিনি কানে তোলেন না, ‘আমি মাঠের বাইরের কথাবার্তায় কান দিই না। খুব একটা পত্রিকা পড়া কিংবা টিভিও দেখি না। অবশ্য এর থেকে দূরে থাকাটা গত গ্রীষ্মে আমার জন্য অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ, অনেক জল্পনা-কল্পনা চলেছে আমাকে নিয়ে। তবে ৩৭ বছর বয়সেও শচীনকে এভাবে রান করতে দেখে; ক্যারিয়ারের শেষ দিকে স্টিভ ওয়াহ; ৩৫ পেরিয়ে এসে ম্যাথু হেইডেন, জাস্টিন ল্যাঙ্গারদের ভালো খেলতে দেখার পর আমারও এই আত্মবিশ্বাস আছে, আমিও ভালো খেলব।’

No comments

Powered by Blogger.