ঢাকার মাঠে ব্রাজিল ফুটবলের ঝলক

বাংলাদেশে এখন আর ভালো মানের বিদেশি ফুটবলার আসে না—কথাটা ভুল প্রমাণ করলেন এভারটন সুজা সান্তোষ নামের এক তরুণ। দেশ ব্রাজিল, খেলেন ব্রাদার্সের মাঝমাঠে। ধারাবাহিকতা রাখতে পারলে আগামী মৌসুমে তাঁকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়বে নিশ্চিত।
ফেডারেশন কাপের বাছাইপর্বে প্রথম ব্রাদার্সের জার্সি গায়ে মাঠে নামেন। চট্টগ্রাম মোহামেডানের বিপক্ষে গোল না পেলেও চোখ কেড়েছিলেন সবার। কাল নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই সবার মুখে একটি নাম—এভারটন।
ব্রাদার্স-ফেনী সকার ম্যাচে আর দেখার কী আছে—এটা ভেবে নেওয়াই ছিল স্বাভাবিক। কিন্তু এভারটান যেন বললেন, ‘আমাকে দেখুন।’ সেই দেখায় এতই মুগ্ধতা ছিল যে এভারটনের পায়ে বল পড়লেই নড়েচড়ে বসতে হয়েছে। এই বুঝি ব্রাজিলীয় ফুটবলের চিরন্তন সৌন্দর্যের একটা ঝলক দেখা যাবে!
সেটা দেখাও গেল কাল কমলাপুর স্টেডিয়ামে। মুকসুদুল আলম বুলবুলের গোলে ১৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া ফেনী সকারও অসহায়ের মতো দেখল লিকলিকে গড়নের ছেলেটির খেলা। পিছিয়ে পড়া ব্রাদার্স ফেডারেশন কাপের চূড়ান্ত পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচটা জিতল তাঁরই সৌজন্যে (৩-১)।
এভারটনের গোল দুটি। ৩৮ মিনিটে ব্রাদার্সকে সমতায় ফেরানো গোলটি ছিল তিনজনকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে প্লেসিং করে। ২-১ করা গোলটিও অনেকটা সে রকমই। দুজনকে কাটিয়ে সতীর্থ স্ট্রাইকার এনক বেনটিলের সঙ্গে ওয়াল করে বলটা বের করে নিয়েছেন প্রথমে। তারপর বক্সে ঢুকে সকারের গোলরক্ষককে জায়গায় দাঁড় করিয়ে রেখে প্লেসিং করেছেন (৪৮ মিনিট)। দেখে মনে হচ্ছিল, ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার বলেই এটা সম্ভব!
দুই দলের ছয় আফ্রিকান ফুটবলারের পায়ে দৃষ্টিকাড়া কিছু ছিল না। তার ওপর স্থানীয় খেলোয়াড়েরা নষ্ট করেছেন সহজ সব সুযোগ। অবশেষে ব্রাদার্সের হয়ে ফয়সাল মাহমুদ জাল খুঁজে পেয়েছেন ৭০ মিনিটে। ব্রাদার্সের জয়টা তাতে শেষ পর্যন্ত এল বেশ সহজে।
গোপীবাগের দলটি এখন ওই ব্রাজিলিয়ানের ওপর ভর করে যেতে চায় অনেক দূর। ক্লাবের মাঠে ৩৫ জন বিদেশির হাট বসিয়ে ট্রায়াল নিয়ে তাঁকেই পছন্দ করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। ঝাঁকের কইয়ের মধ্যে তিনি নিজেকে আলাদা করে ফেললেন শুরুতেই।

আজকের খেলা
শেখ রাসেল-শেখ জামাল, আবাহনী-রহমতগঞ্জ
(বিকেল ৩-৩০মি. ও ৫টা; কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম)

No comments

Powered by Blogger.