ব্রাসেলসেও গে-রাজত্ব

১০০ মিটারে আবারও জিতলেন টাইসন গে। আগের দুটি মিটের মতো উসাইন বোল্টের অনুপস্থিতিতে ডায়মন্ড লিগ অ্যাথলেটিকসের ব্রাসেলস মিটে জিতলেন ৯.৭৯ সেকেন্ড সময় করে। ট্র্যাকে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স দেখিয়ে গে এই দাবিটা প্রতিষ্ঠা করলেন, ১০০ মিটারে তিনিই মৌসুম-সেরা (২০১০)।
তবে ব্রাসেলসের ট্র্যাকে তাঁর শুরুটা ভালো হয়নি। সবাই ভেবেছিল ফলস স্টার্ট করেছেন; যা থেকে ডিসকোয়ালিফাইডও হতে পারতেন। দ্রুতগতির ট্র্যাক, বাতাসও ছিল অনুকূলে। শুরুর বিভীষিকায় না পড়লে হয়তো নিজের সেরা ৯.৬৯ টাইমিংকেও ছাপিয়ে যেতে পারতেন। এই না পারার জন্য আক্ষেপ নেই গের, তবে মেনে নিচ্ছেন দৌড়টা আশানুরূপ ভালো হয়নি, ‘সময় নিয়ে আমি একরকম খুশিই, কিন্তু দৌড়টা নিয়ে নয়। কারণ শুরুটা আমি কাজে লাগাতে পারিনি। ব্যক্তিগত সেরা পারফরম্যান্সের লক্ষ্য নিয়ে এখানে এসেছিলাম। ট্র্যাক দ্রুতগতিরও ছিল কিন্তু সুবিধাটা নিতে পারিনি।’
ফলস স্টার্ট করেননি, এমনটা দাবি করে গে বলছেন, ‘আমার মনে হয়, অন্য কারও বক্স ফসকেছিল, কিন্তু ক্যামেরা ফোকাস করতে লাগল কেবল আমাকেই। এটা আমার মনে কিছুটা ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল, মনোযোগও কিছুটা সরিয়ে দিয়েছিল।’ তবে শেষটা ভালো হওয়ায় সন্তুষ্ট গে, ‘শেষ ৩০ মিটার যেভাবে দৌড়েছি তাতে আমি খুশিই।’
১৪ মিটের ডায়মন্ড লিগ অ্যাথলেটিকসের শেষের তিনটিতে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ বোল্টকে না পাওয়ায় হতাশ নন গে। স্টকহোমে বোল্টকে হারিয়ে শিরোপা জেতা গে বলছেন, ‘আবহাওয়া, সময় ও ইনজুরির কারণে কে কে ট্র্যাকে থাকবে, সেটা আপনি আগে থেকেই বলতে পারেন না।’ বোল্ট ও আরেক জ্যামাইকান আসাফা পাওয়েল না থাকলেও ট্র্যাকে গের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দুই জ্যামাইকান। ৯.৮৫ সেকেন্ড টাইমিং করে দ্বিতীয় হয়েছেন নেস্টার কার্টার, তৃতীয় ইয়োহান ব্লেক (৯.৯১)।
গের সাফল্যের দিনে ব্যর্থ কাস্টার সেমেনিয়া। লিঙ্গ-বিতর্কের ঝড় শেষে গত মাসে ট্র্যাকে ফেরা দক্ষিণ আফ্রিকান এই অ্যাথলেট ডায়মন্ড লিগে নিজের অভিষেকে মহিলাদের ৮ মিটারে তৃতীয় হয়েছেন ১ মিনিট ৫৯.৬৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে। প্রথম হয়েছেন কেনিয়ার জানেথ জেপকসগেই, টাইমিং ১: ৫৮.৮২।

No comments

Powered by Blogger.