দু-এক দিনের মধ্যে পিটারের সঙ্গে চুক্তি

দেড় বছর ধরে বাংলাদেশে যাওয়া-আসা করলেও এখন পর্যন্ত হকি কোচ পিটার গেরহার্ডের সঙ্গে চুক্তি করতে পারেনি হকি ফেডারেশন। ফেডারেশন থেকে আভাস দেওয়া হয়েছিল, জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জার্মানি সফর শেষে চুক্তি হতে পারে। তবে এই জার্মান কোচের ওপর নিজেদের ‘নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করার জন্য তত দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করছে না হকি ফেডারেশন। চুক্তিটা হয়ে যাচ্ছে দু-তিন দিনের মধ্যেই।
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার জামিলউদ্দিন গতকাল সে কথাই জানালেন, ‘চুক্তির খসড়া তৈরি। ২০ আগস্ট নাগাদ দল জার্মানি যাওয়ার আগেই চুক্তি করে ফেলব। সম্ভবত দু-তিন দিনের মধ্যেই হয়ে যাবে।’
পিটারের মাসিক বেতন হবে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার ডলার। সঙ্গে থাকার খরচ। চুক্তিটা আপাতত চার মাসের। চার মাসের কেন? জামিল ব্যাখ্যা দিলেন, ‘নভেম্বরে এশিয়ান গেমস পর্যন্ত কোচের বেতন জোগানোর ব্যাপারে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন। এরপর বেতন কে দেবে? এটাই বড় প্রশ্ন। তাই আপাতত চার মাসের জন্য চুক্তি করছি।’
চুক্তি ছাড়া এত দিন পিটার কাজ করে গেছেন কেন? প্রশ্ন বটে। আর্থিক অসচ্ছলতায় হকি ফেডারেশন চুক্তি করতে পারেনি, এটা ফেডারেশনের দুর্বলতা। যে কারণে পিটার নিজের খুশিমতো ঢাকায় এসেছেন আর দেশে গেছেন। ফেডারেশন তাঁকে জোর দিয়ে কিছু বলতে পারেনি। এবার যাতে ইউরোপে সফরে খেলোয়াড়েরা ঠিকভাবে সব সুযোগ-সুবিধা পান এবং পিটার দলের সঙ্গে থাকেন, সেটা চায় ফেডারেশন। সে জন্যই চুক্তির ব্যাপারে বেশ অগ্রগতি হয়েছে গত কয়েক দিনে।

No comments

Powered by Blogger.