আঠারো মাস পর ৪ মাসের চুক্তি

ভাবুন তো, আঠারো মাস ধরে ‘মৌখিক চুক্তি’তে কাজ করে যাচ্ছেন জেমি সিডন্স!
ব্যাপারটা ঠাট্টা বলে উড়িয়ে দেবেন না। ক্রিকেটে না হোক, বাংলাদেশের হকি আঠারো মাস ধরে এই ‘ঠাট্টা’টা দেখে আসছে। কোনো রকম আনুষ্ঠানিক চুক্তি ছাড়াই হকি দল নিয়ে কাজ করছিলেন জার্মান কোচ পিটার গেরহার্ড। অবশেষে সেই ‘রসিকতা’র শেষ হলো কাল।
হকি ফেডারেশনে গেরহার্ডের সঙ্গে চার মাস মেয়াদি আনুষ্ঠানিক একটা চুক্তি করল হকি ফেডারেশন। সে অনুষ্ঠানেরও আবার কী ছিরি! কোচ এসে বসে রইলেন, সঙ্গে ফেডারেশনের কয়েকজন কর্মকর্তা। ফেডারেশনের পক্ষে যিনি চুক্তি সই করবেন, সেই সাধারণ সম্পাদকের কোনো দেখা নেই। তিনি যানজটে আটকা পড়ে রইলেন। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের কাছে এই বিলম্বের জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার জামিলউদ্দিন।
চুক্তি সই ছাড়াই সে অনুষ্ঠান শেষ হলো। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথন শেষে অনুষ্ঠান-টনুষ্ঠান যখন শেষ, সবাই যাঁর যাঁর পথ মেপেছেন; তখন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এসে চুক্তি সই করলেন।
সে চুক্তিতে কী আছে? সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য আনভীর আদেল বললেন, ‘খুবই স্বচ্ছ একটা চুক্তি করছি আমরা। এটুকু বলতে পারি, চুক্তিতে দুই পক্ষেরই স্বার্থ যত দূর সম্ভব রক্ষা করা হয়েছে।’
চুক্তি অনুযায়ী গেরহার্ড মাসে ৩ হাজার ডলার করে পাবেন। বিনিময়ে গেরহার্ড কী করবেন? কোচ কোচিং ছাড়া আর কী করাবেন! না, এই কোচ একটু বাড়তি কাজ করে থাকেন। আগে একবার নিজে উদ্যোগ নিয়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের জার্মান সফরে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাতে কী উপকার হয়েছে না-হয়েছে তা নিয়ে তর্ক হতে পারে।
তবে কোনো তর্কবিতর্কের ধার না ধেরে আবার গেরহার্ড জাতীয় পর্যায়ের ১৮ খেলোয়াড়কে জার্মানিতে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে একটা ক্লাবের সঙ্গে সপ্তাহান্তে ম্যাচ খেলবেন খেলোয়াড়েরা। আর ইউরোপীয় কন্ডিশনে অনুশীলন হবে।
এর মানে অবশ্য এই নয় যে, ইউরোপ সফরে যাওয়া এই ১৮ জনের ভেতর থেকেই ১৬ জনের এশিয়ান গেমসের দল করা হবে। কোচের বক্তব্য, সে দল করার জন্য দেশে থাকা খেলোয়াড়দেরও বিবেচনা করা হবে!

No comments

Powered by Blogger.