হাসিমুখে খেটে যায় বখশিশ নেয় না

রেস্তোরাঁয় গিয়ে টেবিলে বসতে না বসতে পরিচারক এসে হাজির। খাবারের ফরমাশ দিতে না দিতে হুকুম তামিল। আদেশ পালনে কোনো খুঁত নেই। খুশি হয়ে কেউ বখশিশ দিতে যাবে, এতে তার প্রবল আপত্তি। খেদমত করে রেস্তোরাঁর গ্রাহকদের খুশি করাই তার একমাত্র কাজ। বখশিশের প্রয়োজন নেই।
গ্রাহকদের মনের মতো এমন পরিচারক রয়েছে থাইল্যান্ডের এক রেস্তোরাঁয়। তবে তারা কেউ রক্তমাংসের মানুষ নয়, যন্ত্রমানব—রোবট। ওই রেস্তোরাঁ সম্প্রতি নিয়োগ করেছে এসব রোবট পরিচারক। এ ধরনের উদ্যোগ এটিই প্রথম।
এসব রোবট খুব চটপটে। কাজকর্মে কোনো ভুল নেই। হাসিমুখে তারা মানসম্পন্ন সেবার নিশ্চয়তা দিচ্ছে। রোবটের হাসি দেখে যদি গ্রাহকদের মন না ভরে, তাহলে অন্য ব্যবস্থাও আছে। নেচে গ্রাহকদের খুশি করার চেষ্টা করবে রোবটগুলো।
রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ জানায়, এসব রোবট শ্রমিক খরচ কমাতে সহায়তা করছে। তাদের বিরতিরও প্রয়োজন নেই। কাজের অতিরিক্ত সময়েও এসব রোবট দিয়ে কাজ করানো যাচ্ছে। গ্রাহকদের ব্যয়ও কমাচ্ছে এই রোবট। তাদের কোনো বখশিশ দিতে হয় না। দিলেও নেবে না। কারণ, রোবটে সে ব্যবস্থা নেই। তাই বলে খাবার কিন্তু রোবট তৈরি করছে না। মানুষের হাত না পড়লে কি আর খাবার সুস্বাদু হয়? সে চিন্তা মাথায় রেখেই রেস্তোরাঁয় মানব বাবুর্চির হাতে তৈরি হচ্ছে রকমারি খাবার।

No comments

Powered by Blogger.