মাটিতেই পা রাখছেন হোন্ডা

জাপানের পত্রিকাগুলো রাতারাতি ‘হোন্ডা-বন্দনা’য় মেতে উঠেছে। তা কেউসুকে হোন্ডাকে নিয়ে বন্দনা করারই কথা। নিজের জন্মদিনে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ক্যামেরুনের বিপক্ষে, নেমেই বাজিমাত। রাশিয়ান লিগে খেলা হোন্ডার গোলে দেশের বাইরে কোনো বিশ্বকাপ ম্যাচে প্রথম জয় পেল জাপান।
হোন্ডাকে নিয়ে এত বেশি হইচই তরুণ স্ট্রাইকারের মাথা বিগড়ে দিতে পারে বলেও ভয় পাচ্ছেন জাপানের সাবেক কোচ ইভিচা ওসিম। অস্ট্রিয়া থেকে ফোনে বলেছেন, ‘সব সংবাদপত্র এভাবে হোন্ডাকে নিয়ে শিরোনাম করতে থাকলে সেটা বিপজ্জনক ব্যাপার হবে। এতে ওর নিজের সম্পর্কে একটা ভুল ধারণা তৈরি হতে পারে।’
অবশ্য হোন্ডার নিজের কথা শুনলে ওসিমের আশঙ্কাকে আর বাস্তব বলে মনে হবে না। হোন্ডা এই প্রশংসা-বন্যায় ভেসে না গিয়ে বরং দলের বাকিদের সতর্ক করছেন, ‘নেদারল্যান্ড মোটেও সহজ কোনো প্রতিপক্ষ না। আমরা যদি নিজেদের খেলার মান না বাড়াই, তাহলে আমরা জীবনেও ওদের হারাতে পারব না। তবে এটাও ঠিক যে উন্নতি করতে থাকলে অসম্ভব বলে দুনিয়ায় কিছু নেই।’
তাহলে হোন্ডা নিজের প্রাপ্তি নিয়ে একটুও আবেগ আপ্লুত নন! তাই কি হয়? জন্মদিনে গোল করে দলকে জেতানোর আনন্দ সংক্ষেপে হলেও জানাতে ভুললেন না, ‘গতকাল (সোমবার) আমার জন্মদিন ছিল। আর এটাই মনে হয় আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।’

No comments

Powered by Blogger.