দুই সতীর্থ আজ প্রতিপক্ষ

খুব বেশি দিন হয়নি, রাফায়েল মার্কেজকে ডিয়েগো ম্যারাডোনা বলেছিলেন ‘বিশ্বসেরা ডিফেন্ডার’। ম্যারাডোনার বিশ্বসেরার আজ বড় একটা পরীক্ষা ম্যারাডোনার দলের বিপক্ষেই। মার্কেজকে আজ সামলাতে হবে মেসি-হিগুয়েইন-তেভেজদের। সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটা নেবেন অবশ্যই লিওনেল মেসি। কারণটা সবারই জানা, তবুও আরেকবার শুনুন মার্কেজের মুখেই, ‘ওর (মেসি) কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়া কঠিন। ও ভীষণ দ্রুত, চোখের পলকে অবস্থান বদলে ফেলে।’
মেসির শক্তির দিকটা যেমন মার্কেজ জানেন, তেমনই দুর্বলতা কিছু থেকে থাকলে সেটিও জানার কথা মার্কেজের। তেমনই মার্কেজের শক্তি-দুর্বলতাও ভালোভাবে জানার কথা মেসির। কম তো আর হয়নি, গত সাত বছর একসঙ্গে খেলছেন তাঁরা বার্সেলোনায়। দুজনের নাড়ি-নক্ষত্রও তাই জানা থাকার কথা দুজনের। এই বিশ্বকাপটা এখন পর্যন্ত দুর্দান্ত কেটেছে দুজনেরই। মেসি যেমন দলের মূল চালিকাশক্তি, মার্কেজ তেমনি রক্ষণ সামলে হানা দেন প্রতিপক্ষের সীমানাতেও। একটা দিক থেকে অবশ্য এগিয়ে রাখা যায় মার্কেজকে, ডিফেন্ডার হয়েও পেয়েছেন গোল। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর গোলেই সমতা ফিরিয়েছিল মেক্সিকো। তবে মার্কেজ আবার ম্যাচ-সেরা হননি একবারও, কিন্তু গোল না পেয়েও মেসি ম্যাচ-সেরা হয়েছেন একবার। আজ দুজনের লড়াইটা জমবে পজিশনের কারণেও। এই বিশ্বকাপে মার্কেজ খেলছেন তিন ডিফেন্ডারের একটু সামনে, ওই জায়গা দিয়েই আক্রমণটা বেশি করেন মেসি।
গত বিশ্বকাপেও দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুজন। ওই ম্যাচ নিয়ে দুজনের অনুভূতিটা দুই রকম। মার্কেজের গোলে ৫ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল মেক্সিকো। কিন্তু ধরে রাখতে পারেনি, অতিরিক্ত সময়ে হেরে নিজের সাফল্য মিলিয়ে গিয়েছিল দলের ব্যর্থতায়। ১৯তম জন্মদিনে মেসি মাঠে নেমেছিলেন ৭৯ মিনিটে। বেশি কিছু করতে পারেননি, তবে দলের সাফল্যে মাঠ ছেড়েছিলেন মাথা উঁচু করেই। আজকের ম্যাচ কী রেখেছে দুজনের জন্য?

No comments

Powered by Blogger.