লিবিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত নিহত শতাধিক



লিবিয়ায় গতকাল বুধবার একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ১০৫ জন আরোহী নিহত হলেও অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে আট বছরের এক বালক। নিহত যাত্রীদের মধ্যে ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন। আফ্রিকিয়া এয়ারওয়েজের বিমানটি দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ থেকে লিবিয়ার ত্রিপোলি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। ১৯৯২ সালের ২২ ডিসেম্বরের পর লিবিয়ায় এটি সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনা। বিবিসি, এএফপি।
লিবিয়ার কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সময় সকাল ছয়টার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। রানওয়ে থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে বিমানটিতে আগুন লেগে গেলে এটি বিধ্বস্ত হয়। চারদিকে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত সেখানে ছুটে যান। শুরু করেন উদ্ধার তৎপরতা। অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি কাজে নিয়োজিত গাড়িগুলোও সেখানে ছুটে যায়।
লিবিয়ার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এয়ারবাস এ-৩০ বিমানটিতে যাঁরা ছিলেন তাঁদের সবাই প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ওই দুর্ঘটনায় নেদারল্যান্ডের একটি আট বছরের বালক অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গত বছর জুনে কমোরসে ইয়েমেনের একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব যাত্রী নিহত হলেও ১২ বছরের একটি মেয়ে বেঁচে যায়।
ত্রিপোলিতে বিধ্বস্ত বিমানটিতে ৯৪ জন যাত্রী ও ১১ জন ক্রু ছিলেন। যাত্রীরা বিভিন্ন দেশের হলেও ক্রুরা সবাই লিবিয়ার নাগরিক।
লিবিয়ার পরিবহণমন্ত্রী মোহাম্মদ আলীজিদান বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে সন্ত্রাসবাদের ধারণাকে উড়িয়েদিয়েছেন। তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দুর্ঘটনার পেছনে কোনো সন্ত্রাসীতৎপরতা নেই, এটা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি।

No comments

Powered by Blogger.