স্টিভ ওয়াহর আরেক কীর্তি ছুঁলেন পন্টিং

সেই দলে ছিলেন দুই ওয়াহ, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, গ্লেন ম্যাকগ্রা, শেন ওয়ার্নরা। এক পন্টিং ছাড়া অস্ট্রেলিয়ার এই দলে সেই অর্থে কোনো গ্রেট নেই। তার পরও পূর্বসূরিদের অসাধারণ এক কীর্তি ছুঁল অস্ট্রেলিয়া, পুরো গ্রীষ্মেই অপরাজিত! ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্মের পর যে কীর্তি তারা গড়তে পেরেছিল এর আগে কেবল ২০০০-০১ মৌসুমেই। ওই গ্রীষ্মে স্টিভ ওয়াহর দলের প্রতিপক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ে, এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। সেবার অনিশ্চয়তায় ভরা খেলার সবচেয়ে অনিশ্চিত সংস্করণ টি-টোয়েন্টিও ছিল না, পন্টিংয়ের দলের কৃতিত্ব তাই একটু বেশিই বলা যায়।
কালকের ম্যাচটা ছিল ওয়ার্নার ও ওয়াটসনের। ১৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে কেমার রোচের প্রথম ওভারেই ২৪ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া, তিন ছক্কা এক চারে ৪ বলে ২২ ওয়ার্নার। একপর্যায়ে ওয়ার্নার ৯ বলে ৩৯, যুবরাজ সিংয়ের ১২ বলে ফিফটির রেকর্ড ভাঙা তখন খুবই সম্ভব বলে মনে হচ্ছিল। লেগেছে আরও নয় বল, তবে ১৮ বলে ফিফটিও টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম। আউট হয়েছেন ২৯ বলে পাঁচ চার ও সাত ছয়ে ৬৯ রান করে। কম যাননি ওয়াটসনও, ৩৩ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত, চার-ছয় সমান চারটি করে।
ক্রিস গেইলের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার মিছিল অব্যাহত ছিল এ ম্যাচেও। শেষ পর্যন্ত রানটা মোটামুটি একটু ভদ্রস্থ চেহারা পায় শেষ ৩.৩ ওভারে দিওনারায়ণ-স্যামির ৪০ রানের জুটিতে। ওয়েবসাইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৩৮/৭ (দিওনারায়ণ ৩৬*, ডাওলিন ৩১, স্যামি ২৬*। হ্যারিস ২/২৭, ক্রিস্টিয়ান ২/২৯, ওয়াটসন ১/১৫, টেইট ১/২৭)। অস্ট্রেলিয়া: ১১.৪ ওভারে ১৪২/২ (ওয়ার্নার ৬৭, ওয়াটসন ৬২*। মিলার ২/৫৬)।

No comments

Powered by Blogger.