নাইজেরিয়ায় পরিস্থিতি শান্ত

নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অনেকটা স্তিমিত হয়ে এসেছে। গত দুই দিনে নতুন করে কোনো সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। সহিংসতাপূর্ণ এলাকায় হাজার হাজার সেনাসদস্য টহল দিচ্ছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেছে। নগরবাসীর সুবিধার্থে কারফিউ শিথিল করা হয়েছে। খাবার ও পানি সংগ্রহের সুবিধার্থে দিনে সাত ঘণ্টার জন্য কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি সহিংসতার পথ ছেড়ে উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর এএফপির।
প্লেটিয়্যু প্রদেশের প্রধান শহর যশে গত রোববার খ্রিষ্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংসতা শুরু হয়। পরে প্লেটিয়্যু প্রদেশের আশপাশেও তা ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রায় ৩০০ লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে সহস্রাধিক। সহিংসতাপূর্ণ এলাকার হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে সেনাঘাঁটি, গির্জা ও মসজিদে আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার।
খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত এলাকা নাসারাওয়া গোয়ামের বাসিন্দা ডেভিড মাইয়াকি গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। সংঘর্ষ কমেছে। যশ শহরের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আনগুয়ারোগো বলেন, ‘অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে সংঘর্ষ শেষ। সব জায়গাতেই শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
প্লেটিয়্যুর প্রাদেশিক তথ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক ইজকিল দালিওপ বলেন, যশে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসায় কারফিউ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের খাবার সংগ্রহের সুবিধার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১৫ কোটি জন-অধ্যুষিত নাইজেরিয়ায় বেশির ভাগ লোকই খ্রিষ্টান ও মুসলিম সম্প্রদায়ের। সংখ্যায় প্রায় সমান সমান। প্লেটিয়্যু প্রদেশের রাজধানী যশেও দুই সম্প্রদায়েরই লোকের সংখ্যা প্রায় সমান। শহরের দক্ষিণাঞ্চল মুসলমান-অধ্যুষিত এবং উত্তরাঞ্চল খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত।

No comments

Powered by Blogger.