দেশে চালু হলো ডিবর

দেশের ব্যাংকগুলোকে নিজেদের মধ্যে ঋণ দেওয়া-নেওয়ায় সুদের হার নির্ধারণের জন্য এখন থেকে ঢাকা আন্তব্যাংক হার (ঢাকা ইন্টারব্যাংক অফার রেট বা ডিবর) ব্যবহার করা হবে।
এটি আন্তব্যাংক লেনদেনে সুদের হারের মানদণ্ড হিসেবে কাজ করবে।
গতকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ডিবর চালু করা হয়।
এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান।
গভর্নর তাঁর বক্তব্যে বলেন, উন্নত দেশগুলোয় অনেক আগেই এ ধরনের সূত্রমূলক সুদের হার প্রচলন করা হয়েছে।
বাংলাদেশেও এখন থেকে এই ডিবর শুধু ব্যাংকগুলোর আন্তব্যাংক লেনদেনেই নয়, বরং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুদের হার নির্ধারণে সহায়তা করবে।
আতিউর রহমান আরও বলেন, এই হার দেশি ও বিদেশি উদ্যোক্তা-বিনিয়োগকারীরা তাঁদের বিনিয়োগ-ব্যয় পরিকল্পনায় ব্যবহার করতে পারবেন।
বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ৪৪টি ব্যাংকের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) প্রতিদিন ওয়েবসাইটে (www.bafeda.org.bd) ডিবর প্রকাশ করছে।
এতে চার ধরনের সুদের হার দেওয়া হচ্ছে। গতকাল এই হারগুলো ছিল: রাতারাতি ৪ দশমিক ২৪ শতাংশ; এক সপ্তাহ ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ; এক মাস ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং তিন মাস ৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।
দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঋণ গ্রহণ বা প্রদানের ক্ষেত্রে যে ডিবরও বাধ্যতামূলকভাবে অনুসরণ করতে হবে না। তবে সুদের হার নির্ধারণের জন্য ডিবরকে বিবেচনায় রাখতে হবে।
বর্তমানে সারা বিশ্বে লিবর (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফার রেট) আন্তর্জাতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ব্যবহূত হয়ে থাকে। এ ছাড়া ব্যবহার রয়েছে সিবর (সিঙ্গাপুর) বা ইউরিবরের (ইউরো অঞ্চল)।

No comments

Powered by Blogger.