রফিকের ব্যাটে আবাহনীর উদ্ধার

কী বলবেন এটিকে? বুড়ো হাড়ে ভেল্কি নাকি স্রেফ অভিজ্ঞতা? নামটা মোহাম্মদ রফিক বলেই এতকিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। রফিক তো এমনই, দিনটা যদি তাঁর হয় তাহলে তুচ্ছ হয়ে যায় দলের অবস্থা, ম্যাচের পরিস্থিতি। খুব বেশি অতীতে যেতে হবে না, এই তো সেদিন প্রিমিয়ার টি-টোয়েন্টির ফাইনালেই ঝড় তুলেছিলেন ব্যাট হাতে। বিকেএসপিতে কাল দলের বিপর্যয়ে আরও একবার চওড়া এই বাঁহাতির ব্যাট। রফিকের ৭২ বলে ৯০ রানের অপরাজিত ইনিংসটিই ক্রিকেট কোচিং স্কুলের বিপক্ষে খাদের কিনারা থেকে ফিরিয়ে জয় এনে দিয়েছে আবাহনীকে।
ইনজুরি থেকে ফিরে প্রথম ম্যাচেই সৈয়দ রাসেল নিয়েছিলেন ৩ উইকেট, কালও তিনিই ৪ উইকেট নিয়ে কাঁপিয়ে দিলেন আবাহনীকে। রফিক যখন উইকেটে এলেন, দলের রান তখন ৬ উইকেটে ৮১। একটু পরই সেটা হয়ে গেল ৭ উইকেটে ৯০। এর পরই আরাফাত সানির সঙ্গে রফিকের ম্যাচের মোড় ঘুড়িয়ে দেওয়া ১০১ রানের জুটি। ৬টি চার ও ৪টি ছয়ে সাজানো রফিকের ইনিংসটি আবাহনীকে এনে দিল ২০৮ রানের মাঝারি স্কোর। এই স্কোরই পাহাড়সম হয়ে গেল সিসিএসের সামনে। তাদের ১১৬ রানেই অলআউট করে গত তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা পেয়ে গেল টানা ষষ্ঠ জয়।
ফতুল্লায় সূর্যতরুণ তুলেছিল ২২৭ রান। জাতীয় দলের সাবেক পেসার তাপস বৈশ্যর বোলিং তোপে পারটেক্স অলআউট জয়ের লক্ষ্য থেকে ২৫ রান দূরে থাকতেই। ৩৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাপস, এবারের লিগে কোনো বোলারের ৫ উইকেট নেওয়ার মাত্র দ্বিতীয় ঘটনা।

No comments

Powered by Blogger.