টি-টোয়েন্টি সিরিজ পাকিস্তানের

দুবাই আর জোহানেসবার্গে গতকাল একই সময়ে শুরু হয়েছে দুটি টি-টোয়েন্টি। এই প্রতিবেদন লেখার সময় মরু শহরটিতে যখন রেকর্ড ছোঁয়ার উত্সব করছে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় শহরটিতে তখন আরও একবার বৃষ্টি-ট্র্যাজেডির শিকার হওয়ার অপেক্ষায় স্বাগতিকেরা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০৩ রানের কঠিন লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছিল দুই প্রোটিয়া ওপেনার অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ (২৩ বলে ৪১) ও লুটস বসম্যান (৩১ বলে ৫৮)। মাত্র ৮.৩ ওভারের বিস্ফোরক জুটিতে ৯৭ রান তুলেছেন এই দুজন। তবে এর পরই ম্যাচে ফেরে ইংলিশরা। বৃষ্টির জন্য যখন খেলা বন্ধ হলো, দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৩ উইকেটে ১২৭। ডার্কওয়ার্থ-লুইস আইনে জয়ের জন্য ওই সময় প্রয়োজন ১২৮! বৃষ্টির জন্য আর খেলা না হলে ১ রানে হারতে হবে স্মিথের দলকে।
দুবাইতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টিতে টানা সাত ম্যাচ জয়ের দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড স্পর্শ করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের করা ৫ উইকেটে ১৫৩ রানের জবাবে কিউইরা করতে পারে ১৪৬ রান। ওয়ানডে সিরিজে হারলেও টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের ২-০ তে হারাল পাকিস্তান।
জোহানেসবার্গে ইনিংসের প্রথম বলেই আউট হন জো ডেনলি, দলীয় ২৫ রানে নেই আরেক ওপেনার অ্যালিস্টার কুকও। ইংল্যান্ডের ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু জোনাথন ট্রট (২৫ বলে ৩৩) ও অধিনায়ক পল কলিংউডের ৪৬ রানের জুটিতে। আর চতুর্থ উইকেট জুটিতে প্রোটিয়া বোলারদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়েন কলিংউড ও মরগান। মাত্র ৯.১ ওভারে ৯৮ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। কলিংউড ৩২ বলে ৫৭ করে আউট হলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ বলে ৮৫ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে ২০২ রানের পাহাড়ে তুলে দেন মরগান। পরিস্থিতি, প্রতিপক্ষের বোলারদের বিবেচনায় নিলে মরগানের ৭ চার ও ৫ ছক্কার ইনিংসটি নিঃসন্দেহে টি-টোয়েন্টির ১২৪ ম্যাচের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ইনিংস।
দুবাইতে পাকিস্তান দেড় শ পেরোয় মূলত উমর আকমলের ৪৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে । ৪.৩ ওভারে ৪০ রান তুলে পাকিস্তানকে ভালো একটা সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ইমরান নাজির (১২ বলে ১৯) ও কামরান আকমল (২২ বলে ২৬)। অধিনায়ক আফ্রিদি করে ১৭ বলে ২২। তবে বড় কোনো জুটি গড়ে না ওঠায় আরও বড় হয়নি পাকিস্তানের স্কোর।

No comments

Powered by Blogger.