পাকিস্তানি সাবেকেরাও করছেন কুর্নিশ

১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক শচীন টেন্ডুলকারের। তাঁর ক্যারিয়ারের ২০ বছর পূর্তিতে সেই পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররাও মেতেছেন টেন্ডুলকার-বন্দনায়। ভারতের জীবন্ত এই কিংবদন্তিকে এই খেলাটার সত্যিকারের দূতই মানছেন তাঁরা।
সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ বলেছেন, তরুণদের সব সময়ই তিনি টেন্ডুলকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করার পরামর্শ দেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টেন্ডুলকারের খেলা প্রথম বলটার কথা মনে করে মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘ইমরান, ওয়াসিম, ওয়াকার আর সেলিম জাফরকে নিয়ে দুর্দান্ত এক পেস আক্রমণ ছিল আমাদের। টেন্ডুলকার কীভাবে টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর প্রথম বলটার মুখোমুখি হলো সেই দৃশ্য এখনো মনে আছে আমার। ওয়াকার বলটা করেছিল খুব জোরের ওপর, ওই তরুণ ব্যাটসম্যান ফ্রন্টফুটে এসে ড্রাইভ করল সেটা। দেখেই বোঝা গিয়েছিল ও খুব আত্মবিশ্বাসী। তখনই জানতাম, ভবিষ্যতে এই তরুণকে নিয়ে অনেক কিছু শুনব আমরা।’
পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার আবদুল কাদির বলছেন, টেন্ডুলকার ফুরিয়ে যাননি। এখনো দেওয়ার অনেক বাকি আছে তাঁর, ‘ক্রিকেটের প্রতি ওর যে তৃষ্ণা, আমি তো মনে করি আর সব গ্রেটকে পেছনে ফেলে দিয়েছে টেন্ডুলকার।’ কাদির যখন ফর্মের তুঙ্গে, ১৯৮৯ সালের ভারত-পাকিস্তান সিরিজে পেশোয়ারের ম্যাচে তাঁর এক ওভারে তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন টেন্ডুলকার। সেই স্মৃতি মনে করে কাদির বলেছেন, ‘আমি ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে ছিলাম তখন। ওই সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানরাও আমার ওপর চড়াও হতে দুবার ভাবত। আমি তাকে মারার জন্যই প্রলুব্ধ করছিলাম। সেও চ্যালেঞ্জটা নিল। তখনই বুঝে গিয়েছিলাম ও সাধারণ কেউ নয়।’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল হকের কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে টেন্ডুলকারের চারিত্রিক দিকটা, ‘টেন্ডুলকারের যে দিকটা আমার বেশি ভালো লাগে...এতগুলো বছর পরও সে সেই আগের মতোই নম্র, সাধারণ। কখনোই দেখিনি, খেলার মর্যাদা নষ্ট হতে পারে এমন কিছু সে করেছে।’ আরেক সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ ইনজামামের কথার ধারাবাহিকতা রেখেই বললেন, ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটের আসল ‘রোল মডেল’ টেন্ডুলকার। সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মঈন খান বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, আমার সময়ে তার চেয়ে বড় মাপের কোনো ব্যাটসম্যানকে আমি দেখেছি।

No comments

Powered by Blogger.