ইউরো অঞ্চল মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে

অবশেষে মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে ইউরো অঞ্চল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক মুদ্রা ইউরো ব্যবহারকারী ইউরোপের ১৬টি দেশকে একত্রে ইউরো অঞ্চল বলা হয়।
গত শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ইউরো অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনীতি সমন্বিতভাবে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে দশমিক ৪০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। ইউরো অঞ্চল এপ্রিল-জুন সময়কালে দশমিক ২০ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছিল।
এই অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই অর্থনীতি জার্মানি ও ফ্রান্স আলোচ্য সময়কালে ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করার মধ্য দিয়ে মন্দা থেকে বেরিয়ে আসা নিশ্চিত করেছে।
আলোচ্য প্রান্তিকে জার্মানির অর্থনীতি দশমিক ৭০ শতাংশ হারে এবং ফ্রান্সের অর্থনীতি দশমিক ৩০ শতাংশ হারে বেড়েছে। তবে এই প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশার চেয়ে কম বলে মনে করা হচ্ছে। জাপানের পাশাপাশি এই দুটি অর্থনীতি বছরখানেক ধরে সংকুচিত হওয়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারা থেকে বেরিয়ে আসে এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে।
অবশ্য অনেকে এটাও বলছেন, গভীর মন্দা থেকে জার্মানির অর্থনীতি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত বেরিয়ে আসতে পেরেছে।
জার্মানি ও ফ্রান্স বিশ্বমন্দায় তুলনামূলকভাবে কম আক্রান্ত হয়েছে এ জন্য যে, দেশ দুটির অর্থনীতিতে আর্থিক খাত যুক্তরাজ্যের চেয়ে কম অবদান রাখে।
যুক্তরাজ্য এখনো মন্দার মধ্যে রয়ে গেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়কালে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি দশমিক ৪০ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছে।
শক্তিশালী রপ্তানি, জোরালো ভোগব্যয় এবং সরকারি উদ্দীপনামূলক ব্যয় ইউরো অঞ্চলকে মন্দা থেকে বের হয়ে আসতে সহায়তা করেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে আরও দেখা যায়, তৃতীয় প্রান্তিকে ইতালি, অস্ট্রিয়া ও স্লোভাকিয়া মন্দা থেকে বেরিয়ে এসেছে। তবে স্পেনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এই প্রান্তিকেও সংকুচিত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.