আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে চান কাকাও

শুধু আর্জেন্টাইন বা আর্জেন্টিনারই নয়, বিশ্বজুড়ে নিখাদ ফুটবল-ভক্তদের মনের কথাটিই যেন শোনা গেল ব্রাজিলীয় মহাতারকা কাকার কণ্ঠে। রিয়াল মাদ্রিদ প্লে-মেকার মনে করেন ফুটবলের স্বার্থেই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়া উচিত, ‘আর্জেন্টিনাবিহীন বিশ্বকাপ কখনোই ভালো হতে পারে না।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলকে ৩-১ গোলে জেতানোয় বড় ভূমিকা আছে কাকার। লুইস ফ্যাবিয়ানোর দুটি গোলেরই উত্স ছিলেন তিনি। এই জয়ে ব্রাজিলের দক্ষিণ আফ্রিকা-যাত্রা নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু ১৯৭০ সালের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মূল পর্বে সুযোগ না পাওয়ার শঙ্কায় পড়ে গেছে আর্জেন্টিনা। তবে কাকা বলেছেন, তিনি মনে-প্রাণেই চান আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে আসুক, ‘আমরা আমাদের কাজ করেছি এবং কোয়ালিফাই করেছি। তাদের হারাতে পেরে ভালোই লাগছে, কিন্তু সত্যিই বলছি, তারা (বিশ্বকাপে) থাকলে আমি আরও খুশি হব। বিশ্বের সেরা দলগুলোরই বিশ্বকাপে খেলা উচিত।’
কাকা সত্যি সত্যিই বলুন আর সহানুভূতি থেকে, আর্জেন্টাইনদের ক্ষতে প্রলেপ পড়ছে না সহজেই। কোনো কিছুতেই সান্ত্বনা পাচ্ছে না তারা। দল দাঁড়িয়ে খাদের কিনারায়, তাই আর্জেন্টিনায় ‘ঈশ্বর-তুল্য’ ডিয়েগো ম্যারাডোনার ভূমিকাও এখন প্রশ্নবিদ্ধ। ম্যারাডোনা নিজেও হারের দায় নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন, ‘পরাজয়ের দায়ভার আমার, শুধুই আমার।’ তবে এতেও ক্ষোভ কমছে না আর্জেন্টাইনদের। ম্যারাডোনার প্রাণের ক্লাব বোকা জুনিয়র্সের সাবেক ফুটবলার হোসে সানফিলিপো সরাসরিই বলেছেন রাস্তা মাপার সময় হয়েছে ‘এল পেলুসা’র, ‘ম্যারাডোনা কিছুই জানে না, সে কোনো কাজেরই না। যত দ্রুত সম্ভব তার ব্যাগ গোছানো উচিত। আর্জেন্টিনা এখন একটা ধ্বংসস্তূপ।’
শুধু সানফিলিপোই নন, আর্জেন্টিনার আমজনতার চাওয়াটাও প্রায় একই রকম। স্প্যানিশ ভাষার পত্রিকা এএস পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৫ শতাংশ আর্জেন্টাইন মনে করেন ম্যারাডোনার সরে পড়ার এখনই সময়। শুধু ম্যারাডোনাই নয়, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে তাঁর উত্তরসূরি বিবেচিত লিওনেল মেসিকেও। আগামী পরশু যাদের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার আরেকটি মরণপণ লড়াই, সেই প্যারাগুয়ের সাবেক অধিনায়ক ও খ্যাপাটে গোলরক্ষক হোসে লুই চিলাভার্টের কথা, মেসি-জাদু শুধু ক্লাব ফুটবলেই সীমাবদ্ধ, ‘আর্জেন্টিনা এখনো তাদের সেরা দলটা খুঁজে পায়নি। মেসি ইউরোপে হয়তো ঈশ্বর, কিন্তু এখানে সে কিছুই করতে পারবে না।

No comments

Powered by Blogger.