অরণ্যে রোদন আনিসুল হক কত দূর বদলাল দিন

বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে। বাংলাদেশের মানুষ বারবার পরিবর্তনের স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে, আপ্লুত হয়। ২০০১ থেকে ২০০৭-এর বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। সর্বত্র দলীয়করণ, সবকিছুর দখল মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে ফেলেছিল। নদীদখল, চরদখল, পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানগুলো দখল—সর্বত্রই ছিল সেই দখলের কালো থাবার বিস্তার। হাসপাতাল হাসপাতাল ছিল না, বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, স্কুল-কলেজ, হাট-বাজার, মাঠ-ঘাট সবকিছু দখল করে নিয়েছিল ক্ষমতাসীন জোটের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা, তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী। দখল করেছিল, কারণ দখলটা আসলে লাভজনক, অর্থকরী। একটা হাসপাতাল দখল করলে নানা সূত্র থেকে টাকার বখরা আসে, ঠিকাদারেরা দেয়, অ্যাম্বুলেন্সওয়ালারা দেয়, অবৈধ দোকানপাটওয়ালারা দেয়। আর নিয়োগ-বদলি যদি কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তাহলে তাঁকে আর পায় কে? তিনি হয়ে ওঠেন একজন ক্ষমতার দৈত্য। অর্থ বলি, প্রতিপত্তি বলি, সব তাঁর পায়ের কাছে এসে লুটিয়ে পড়ে।
এই রকম একচ্ছত্র ক্ষমতাচর্চা, সর্বব্যাপী দখল-লুণ্ঠন-আত্মসাতের মোচ্ছবের মউজ থেকে কে নিজেকে সরিয়ে নিতে চায়। ওই সময়ের ক্ষমতাসীনরা চাননি। তাঁরা ষড়যন্ত্র করেছেন, তাঁরা নির্বাচনের নামে প্রহসন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চেয়েছেন, সেই কাজে তাঁরা অনেক দূর পর্যন্ত সফল হয়েছিলেন, কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি, অ্যাক্ট অব গড নামে পরিচিত একটা ঘটনা এই দেশে ঘটেছে, তাতে দুই বছর দেশ গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত ছিল বটে, আখেরে একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে এবং দিনবদলের সনদ ঘোষণা করে, পরিবর্তনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে শেখ হাসিনার মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
আট মাস পেরিয়ে গেল। দিনবদল কত দূর হলো?
কতগুলো বদল ঘটেছে। হাওয়া ভবনের খবরাখবর এখন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। কিন্তু সে তো কেয়ারটেকার সরকারের টেক-কেয়ারের ফল। শেখ হাসিনার একটা অনেক বড় প্লাস পয়েন্ট হলো, তাঁর ছেলেমেয়েদের কেউই দেশে থাকেন না, ফলে হাওয়া ভবন, বাতাস ভবন, আব-ভবন, আদম ভবন—এই জাতীয় কোনো খবর তাঁদের ঘিরে আমাদের পড়তে হয় না। আশা করি কোনো দিনও পড়তে হবে না।
কিন্তু দেশে পরিবর্তনের লক্ষণ কি দেখা দিয়েছে?
বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হলো একাত্তরে, তখন আমরা খুবই ছোট, স্কুলে পড়ি। বাহাত্তরে নতুন দেশে নতুন ক্লাসে গেছি, কিন্তু বই তো রাতারাতি বদলানো সম্ভব নয়। পুরোনো বইই আমাদের পাঠ্য রইল, শুধু একটা নির্দেশ জুড়ে দেওয়া হলো বইয়ের সঙ্গে, ‘পূর্ব পাকিস্তানের বদলে বাংলাদেশ পড়িতে হইবে।’ এখন এই দিনবদলের দিনে আমাদের কি মাত্র একটা পরিবর্তনই দেখতে হবে, সেটা হলো—‘বিএনপির বদলে আওয়ামী লীগ পড়িতে হইবে।’ আগে সবকিছু দখল করেছিল বিএনপিওয়ালারা, এখন সবকিছু দখল করবে আওয়ামী লীগওয়ালারা! এইটুকুন কেবল পার্থক্য রচিত হবে?
পরিবর্তন মানে নিজের পরিবর্তন সবার আগে। ১৯৯৬-২০০১-এর আওয়ামী লীগ আর ২০০৯-এর আওয়ামী লীগ যদি একই থাকে, একই আচরণ করে, তাহলে সেটাকে মোটেও ভালো বলা যাবে না।
একটু আগেই বলেছি, শেখ হাসিনার একটা ইতিবাচক দিক হলো, তাঁর ছেলেমেয়েরা এই দেশে ব্যবসা, পদায়ন, ক্ষমতার হালুয়া-রুটিতে ভাগ বসাচ্ছেন না। কিন্তু সারা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগাররা যদি দখল-দলীয়করণ-লুটপাটের পুরোনো চক্রটাই প্রতিষ্ঠা করে ফেলে, তাতে আর যাই হোক দিনবদল ঘটে না।
শেখ হাসিনার নিজের উক্তি আমার মনে পড়ছে, তিনি নির্বাচনের আগে এবং নির্বাচনোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি হবে যোগ্যতা অনুসারে, দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে নয়।’ সেই নীতি কি অব্যাহত আছে?
১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে শেখ হাসিনার সরকার দেশটা খারাপ চালায়নি, কিন্তু এমন কতগুলো কাণ্ড ঘটিয়েছিল, যেগুলো না ঘটালেও চলত। অথচ সেসবের কারণে দেশবাসী চরম বিরক্ত হয়ে তার শোধ নিয়েছিল ২০০১ সালের নির্বাচনে। যেমন দেশের বিভিন্ন স্থানে গডফাদারতুল্য দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সন্ত্রাসী নেতার উদ্ভব ও রাজত্ব কায়েম, যারা বাঘ ও মহিষকে এক ঘাটে পানি খেতে বাধ্য করত। সাংসদদের ছেলেরা হঠাত্ করে সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হতে শুরু করলেন। সারা দেশে সাংবাদিক নির্যাতন চলল, অথচ কেন্দ্রীয় নেতারা তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করার বদলে সাংবাদিকতাকেই তাদের শত্রু হিসেবে গণ্য করতে লাগলেন। সারা দেশের কর্মীরা তাতে ভুল ইঙ্গিত পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠলেন। ব্যাপক হারে নামকরণ করা শুরু হলো এবং নির্বাচনের আগে আগে কোন স্তাবকের অসত্ সর্বনাশা পরামর্শে জানি না, জাতির জনকের কন্যার নামে গণভবনটা বরাদ্দ করার উদ্যোগ নেওয়া হলো। শোনা যায়, যুক্তিটা এই ছিল, ‘আপনি তো আবার নির্বাচনের পরে ক্ষমতায় ফিরবেনই, এই তিন মাসের জন্য কেন গণভবন ছেড়ে যাবেন, অযথা বাসা বদলানোর ঝামেলা!’
ভোটাররা এই মনোভাব খুব অপছন্দ করে। ১৯৯৬-এর নির্বাচনের আগে টেলিভিশনের ‘সবিনয়ে জানতে চাই’ অনুষ্ঠানে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছিলেন, ‘তাঁরা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কথা চিন্তাই করছেন না, আগামী কুড়ি বছরেও তাঁদের কেউ হারাতে পারবে না।’ ফল তিনি পেয়েছিলেন হাতে হাতে। ২০০১-এ বাড়ি না বদলানোর মনোভাবের ফলটাও আওয়ামী লীগ পেয়েছিল চরমভাবে। আর বিএনপিওয়ালাদের মনোভাব ছিল ‘ক্ষমতা ছাড়ব না, ছলেবলে কৌশলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান পদে নিজের লোক বসিয়ে হলেও আবার ক্ষমতায় ফিরে আসবই’, সেই মনোভাবের শাস্তিও জনগণ কড়ায়-গণ্ডায় পরিশোধ করেছে।
এখন এসেছে ঘোষিতভাবে দিনবদলের দিন। কতটুকু বদল ঘটল? পত্রিকার প্রথম পাতায় ছবি ছাপা হয়েছে, ঢাকায় টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ছেলেরা গাড়ির ওপরে চড়ে উড়ন্ত লাথি বা ফ্লাইং কিক দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তিনি যখন টেন্ডারবাজির সঙ্গে ছাত্রলীগের জড়িত থাকার খবর পান, তখন তাঁর বড় দুঃখ হয়।’ তাঁর দুঃখে দুঃখ পেতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ওই টেন্ডারবাজদের বয়েই গেছে। তাঁরা তো আদর্শের জন্য রাজনীতি করেন না, তাঁদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য হলো টাকা।
এবার গত কয়েক দিনের প্রথম আলোর শিরোনামগুলোর ওপরে দ্রুত একবার চোখ বোলাই। ‘টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতেই খুনোখুনি হচ্ছে কুষ্টিয়ায়’ (২০ আগস্ট, ২০০৯)। খবরে বলা হয়েছে, খুন বেড়ে যাওয়ার কারণ সড়ক ও জনপথের ১৮ কোটি টাকার টেন্ডার। এর সঙ্গে আছে জিকে প্রকল্প, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণ। চরমপন্থী দুটি দল গণমুক্তি ফৌজ ও জাসদ গণবাহিনী এর নিয়ন্ত্রণ পেতে মরিয়া। এর পেছনে মদদ দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। তিনটি কাটা মাথা ফেলে রাখা ছিল এরই অংশ। সর্বনাশ!
‘শান্তিতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করুন, দাবি কুষ্টিয়াবাসীর’ (২১ আগস্ট, ২০০৯), ‘তিন সাংসদের সহযোগী ও ছেলেদের নিয়ন্ত্রণে কুষ্টিয়া’ (২২ আগস্ট, ২০০৯), ‘চেয়ারম্যান সদরউদ্দিন ও মেয়র নুরুলের কাজে ত্রস্ত এলাকাবাসী’ (২৩ আগস্ট ২০০৯), ‘মেহেরপুরে বোমা আর বোমা, নেপথ্যে চাঁদাবাজি আর ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ’ (২৪ আগস্ট, ২০০৯), ‘মেহেরপুরে সবকিছুর নিয়ন্ত্রক সাংসদ জয়নুলের স্বজনেরা’ (২৫ আগস্ট ২০০৯), ‘চাল সরবরাহেও দলীয়করণ’ (২৬ আগস্ট ২০০৯), ‘দুই ভাইয়ের ইচ্ছায় চলছে চুয়াডাঙ্গা’ (২৭ আগস্ট ২০০৯), ‘যশোরে আট মাসে ৬৯ খুন, নেপথ্যে টেন্ডারবাজি-চাঁদাবাজি’ (১ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসী চক্রগুলোর পৃষ্ঠপোষক কোনো না কোনো রাজনৈতিক নেতা। আর সক্রিয় আছে ক্ষমতাসীন দলের একাধিক পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা। ‘শাহীন চাকলাদারকে ঘিরে যশোরে নানা শঙ্কা’ (২ সেপ্টেম্বর ২০০৯), ‘গ্রামেও সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি-দখল’ (৫ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। এই খবরে বলা হয়েছে, চাঁদাবাজেরা চাঁদা চেয়েছিল দরিদ্র কৃষক আনোয়ারুল ইসলামের কাছে। চাঁদা দিতে পারেননি তিনি, সামর্থ্য ছিল না, চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেন তিনি। এই চাঁদাবাজেরা পরিচিত সাখাওয়াত বাহিনী বলে, আর তার পেছনে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
শুধু এই সর্বব্যাপী সর্বগ্রাসী চাঁদাবাজি আধিপত্য কায়েমের লড়াই নয়, এরা এখন চড়াও হয়েছে সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার ওপর। চুয়াডাঙ্গার সাংসদের সম্পর্কে খবর প্রকাশের প্রতিক্রিয়ায় প্রথম আলোর প্রতিনিধি শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের একদল সন্ত্রাসী। সাংবাদিকের স্ত্রী শিশুসন্তান নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এই পুরো পরিবার এখন এলাকাছাড়া। প্রথম আলো ছাড়াও আরও দুটি সংবাদপত্রের সাংবাদিকেরা শিকার হয়েছেন এই সন্ত্রাসীচক্রের হামলার। যশোরে সমাবেশ করে প্রথম আলোর প্রতিবেদকের হাত-পা ভাঙার ঘোষণা দিয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
এখন পর্যন্ত না সরকার না সরকারি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব—কারও কাছ থেকেই এ সম্পর্কে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের ওপরে নিন্দনীয় পুলিশি হামলার পর স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এই দুঃখ প্রকাশের মধ্যে পরিবর্তন বা দিনবদলের কিছুটা আভাস পাওয়া যায়।
কিন্তু গোটা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ-খুনোখুনির মগের মুল্লুক প্রতিষ্ঠা আর তাতে ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ মদদ প্রদান, কোনো কোনো ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ আমাদের ঘোরতর দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলেছে। তার মধ্যে বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয় হলো সাংবাদিকের ওপর হামলা। চুয়াডাঙ্গার সাংসদ ও পৌর চেয়ারম্যান জোয়ার্দার ভ্রাতৃদ্বয়ের সাংবাদিকদের বাড়িঘরে হামলা-অভিযান যে শেখ হাসিনা ঘোষিত দিনবদলের সনদের ওপরেই এক ভয়ঙ্কর থাবা, সেটা কি কেউ ভেবে দেখেছে?
চুয়াডাঙ্গার এই ঘটনা একটা লিটমাস টেস্ট। সরকার এখনো এই বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি, না রাজনৈতিক না প্রশাসনিক। এর দ্বারাই বোঝা যাচ্ছে, পরিবর্তন শুধু কথার কথা।
আবার এই দেশে নেমে আসছে সেই তিমির। পরিবর্তনের আশায় বুক বেঁধে রাখা বাংলার হতভাগ্য মানুষকে আবার আশাভঙ্গের বেদনায় ভেঙে পড়তে হবে।
তবে মাত্র আট মাস গেছে। এখনো সবকিছু ভেঙে পড়েনি। সরকার ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইলে এখনো স্রোতের উল্টো দিকে যাত্রা সম্ভব। এখনই যদি কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তার দ্বারা সারা দেশের নেতা-কর্মীরা এক ধরনের সংকেত পাবেন। আর যদি কোনো ব্যবস্থাই না নেওয়া হয়, তা তাঁদের করে তুলবে সম্পূর্ণ বেপরোয়া। তার ফলটা দাঁড়াবে, দেশটা বসবাস-অযোগ্য হয়ে উঠবে। আর ব্যর্থ হবে সরকার। দিন পাল্টাবে না। একটা সরকার ব্যর্থ হলে কেবল কয়েকজন মন্ত্রী বা সাংসদ ব্যর্থ হন না, বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষ ব্যর্থ হয়। সেটা কি নেতারা একবার চোখ বন্ধ করে উপলব্ধি করার চেষ্টা করে দেখবেন?
আমরা এখনো বিশ্বাস করি, সর্বস্ব হারানো শেখ হাসিনা, নির্লোভ আদর্শবাদী মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আবুল মাল আবদুল মুহিতরা যে সরকারে আছেন, তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সদিচ্ছা আছে। কাজটা কঠিন। কঠিন কাজই তো করতে হবে। দলকে, দলের বল্গাহীন ছাত্র-যুব ক্যাডারদের, বেপরোয়া সাংসদ-চেয়ারম্যান-সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আর দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ নিঃস্বার্থ কর্মীদের সামনে সৃষ্টি করতে হবে একটা পরিবর্তনের স্বপ্ন, দেশ গড়ার একটা বড় কর্মযজ্ঞে তাদের শামিল করতে হবে।
চুয়াডাঙ্গার সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় সরকার ও নেতারা কী করেন, সবাই মিলে আমরা তাকিয়ে আছি সেই দিকে।
আনিসুল হক: সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।

No comments

Powered by Blogger.