বিপজ্জনক খনি থেকে বছরে আসে ৮ হাজার কেজি সোনা
মূল শহর থেকে খনির দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিলোমিটার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার গভীরে এটি। সুড়ঙ্গ দিয়ে যেখানে পৌঁছতে লাগে ১ ঘণ্টা। খনির ভেতরে এতটাই উত্তপ্ত যে তাপমাত্রা সেখানে ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যায়।
উচ্চতাপের কারণে এখানে কাজ করা শ্রমিকদের বিশেষ ধরনের তাপ নিরোধী পোশাক পরতে হয়। তবুও বিপজ্জনক এই খনিতে প্রায়ই ঘটে প্রাণহানির ঘটনা। সোনা উত্তোলনকালে শ্রমিক মৃত্যুর সংখ্যাও নেহায়েত কম না। এরপরও বিপজ্জনক এই খনি থেকে প্রতি বছর তোলা হয় ৮ হাজার কেজি সোনা। আর এই পরিমাণ সোনা তুলতে খোদাই করতে হয় ৫ হাজার ৪শ টন পাথর।
১৯৫০-৭০ এর দশকের শুরুতে এই অঞ্চলে একটি সিরিজ খনিজ আবিষ্কৃত হয়। পিটার জ্যাকবাস মারাইস একটি নদী থেকে সোনার প্যানিং এবং হেনরি লুইস একটি খামারে সোনার শিরা খুঁজে পান, যা ১৯৮৬ সালে উইটওয়াটারসরান্ড গোল্ড রাশের দিকে পরিচালিত করেছিল।
এই আবিষ্কারের ফলে সেখানে খনন কাজ শুরু হয়। সেসময় পশ্চিমি গভীর স্তরের দক্ষিণ খাদ বা নং ১ শ্যাফট নামে পরিচিত হয়েছিল একটি খনি। যা প্রায় ৫ বছর পর ১৯৮১ সালে ডুবে যায়। এরপর ১৯৮৬ সালে এমপোনেং আনুষ্ঠানিকভাবে খনির কাজ শুরু করে। এমপোনেং নামটি ১৯৯৯ সাল থেকে ব্যবহৃত হয়।
এমপোনেং এ খনন কাজ করে হারমনি গোল্ড। যেটি আফ্রিকার বৃহত্তম স্বর্ণ উৎপাদনকারী সংস্থা। ২০২০ সালে অ্যাংলো গোল্ড আশান্তি থেকে প্রায় $২০০ মিলিয়ন ডলারে এমপোনেং কিনেছিল হারমনি গোল্ড।
২০২০ সালের মার্চ মাসে একটি ভূমিকম্পে খনিতে অনেক প্রাণহানি ঘটে। ফলে খনির অপারেশন বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে আবার উৎপাদন কাজ শুরু করা হয়। অনুমান করা হয় খনিটিতে যে পরিমাণ স্বর্ণ মজুদ আছে তা ২০২৯ সাল পর্যন্ত তোলা যাবে।
সোনার খনি। ছবি : সংগৃহীত |
No comments