রাশিয়ার জন্য স্মরণকালের সবচেয়ে খারাপ মাস অক্টোবর: বৃটিশ প্রতিরক্ষা প্রধান

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে রাশিয়া। বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা স্টাফের প্রধান এডমিরাল স্যার টনি রাদাকিন। তিনি বলেন, ‘অক্টোবরে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ সেনাসদস্য আহত বা নিহত হয়েছে রাশিয়ার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর পর থেকে মস্কোর প্রায় ৭ লাখ সেনাসদস্য হতাহতের শিকার হয়েছেন।’ এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে মোট কতোজন সেনা হারিয়েছে মস্কো তার কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি পুতিন প্রশাসন। তবে পশ্চিমা ব্লকের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের দাবি অক্টোবরেই সবচেয়ে বেশি সেনা হারিয়েছে রাশিয়া। বিবিসি ওয়ানের সানডে উইথ লরা কুয়েনসবার্গ অনুষ্ঠানে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা প্রধান বলেন, পুতিনের হামলার জন্য ‘চড়া মূল্য’ দিচ্ছে রুশ জনগণ। টনি রাদাকিন মনে করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের জন্যই এমন যন্ত্রণা ভোগ করছে দেশটির জনগণ ও সেনাসদস্যরা। তিনি দাবি করেছেন দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এ পর্যন্ত রাশিয়ার ৭ লাখ সামরিক ও বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছেন। ভূখণ্ডের সামান্য অংশ নিজেদের দখলে নিতেই রাশিয়াকে এমন ভয়াবহ ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে পুতিন। তবে এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, রাশিয়া কৌশলগত এবং আঞ্চলিক সুবিধার ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে বেশ চাপে ফেলেছে। কিন্তু বৃটিশ প্রতিরক্ষা প্রধান উল্লেখ করেছেন যে, রাশিয়ার সরকারি আয়ের ৪০ শতাংশই প্রতিরক্ষা খাতে ব্যবহার করছে যা দেশটির জন্য সর্ববৃহৎ ব্যয় খাত। যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ডনাল্ড ট্রাম্প এবং তার মিত্ররা বলেছেন যে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সংঘাত এড়াতে হয়তোবা কিছুটা ভূখণ্ড ছাড় দিতে হবে, সেখানে স্যার টনি জোর দিয়ে বলেছেন, পশ্চিমা মিত্ররা ‘সময় ব্যয়ের’ পক্ষে অনড় থাকবে। অর্থাৎ তারা সময় লাগলেও ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাবে। তার এই বার্তা প্রেসিডেন্ট পুতিনের জন্য একটি সতর্কবার্তা অন্যদিকে জেলেনস্কির জন্য আশার বাণী। ট্রাম্প ধারাবাহিকভাবে বলে আসছেন তিনি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে চান। ইউক্রেনকে সামরিক এবং আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়ের খাত কমানোর পক্ষে ট্রাম্প। তবে তিনি কীভাবে এই নীতি বাস্তবায়ন করবেন তা এখনো স্পষ্ট করেননি। সম্ভবত ট্রাম্প বিভিন্ন উপদেষ্টার মতামতের ভিত্তিতে ইউক্রেনের জন্য ভবিষ্যৎ নীতির ওপর তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করবেন।
mzamin

No comments

Powered by Blogger.