গাজায় এক টুকরো রুটির জন্য হাহাকার : ক্ষুধার যন্ত্রণায় শিশুরা, অসহায় বাবা-মা

গাজায় আজ মানবিক সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। যুদ্ধের আঘাতে বিধ্বস্ত এ অঞ্চলে অসহায় বাবা-মা সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। গত দুই দিন ধরে অসংখ্য পরিবার খাবার জোগাড় করতে পারছে না, ফলে খালি বাটি নিয়ে সন্তানদের দিগ্বিদিক ছুটে চলা মানবিক দুর্ভোগের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

গাজার বাসিন্দাদের জন্য এক বেলার খাবার সংগ্রহ করতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। যুদ্ধের কারণে ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অসহায় জীবন কাটাচ্ছেন তারা। আশ্রয় শিবিরগুলোতে এক টুকরো রুটির জন্য হাহাকার চলছে এবং পরিবারগুলো প্রতিদিন ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে।

স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা এখন বেহাল। চিকিৎসার অভাবে অসুস্থ এবং আহতরা মারাত্মক দুর্ভোগে আছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, খাদ্য এবং সাহায্যের জন্য গুদামগুলোতে মজুত নেই, যা সামান্য ত্রাণ আসে, তা দ্রুত ফুরিয়ে যায়।

হামাসের উপস্থিতির অজুহাতে হাসপাতালগুলোতে নিয়মিত হামলা ও তল্লাশি চলছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবীরা আক্রান্ত হচ্ছেন এবং ইসরায়েলের বোমা হামলায় গাজা শহর মৃত্যুর মুখে।

মিশরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে কিছু সহায়তা প্রবাহিত হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার মানবিক সংকট মোকাবিলার জন্য প্রতিদিন প্রায় ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাকের প্রয়োজন।

গাজার বাসিন্দা এমাদ আবুয়াসি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, “অন্যের থেকে খাবারের জন্য মারামারি শুরু হতে পারে।” গাজায় শিশুদের পরিস্থিতি ভয়াবহ; তারা শুধু ক্ষুধার যন্ত্রণায় ভুগছে না, বরং যুদ্ধের আতঙ্কেও রয়েছে।

এই সংকটময় মুহূর্তে আন্তর্জাতিক সমাজের দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন, যাতে গাজার মানুষের খাদ্য, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। মানবতার কাছে আজকের এই সংকট একটি গুরুতর পরীক্ষা।

সূত্র: আল জাজিরা

একটি ক্ষুধার্ত শিশুর চাহনিতে পুরো বিশ্বের মানবতা। ছবি : রয়টার্স
একটি ক্ষুধার্ত শিশুর চাহনিতে পুরো বিশ্বের মানবতা। ছবি : রয়টার্স



No comments

Powered by Blogger.