গণভবন পরিদর্শন প্রধান উপদেষ্টার: জাদুঘরের কাজ দ্রুত করার নির্দেশ
পরিদর্শনকালে সঙ্গে ছিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, নাহিদ ইসলাম এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টাদের জাদুঘর বিষয়ক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাদুঘরের প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে বলেছেন। গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল গণভবন, যা তার দমন-পীড়ন এবং নিষ্ঠুর শাসনের প্রতীক হয়ে ওঠে। ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনকালে ড. ইউনূস বলেন, এই জাদুঘরে তার অপশাসনের স্মৃতি এবং তাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার সময় মানুষ যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল তা সংরক্ষিত থাকবে। ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারত চলে যাওয়ার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কয়েক লাখ বিক্ষোভকারী ঝড়ের বেগে গণভবনে ঢুকে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা গণভবনের দেয়াল ও কক্ষে গ্রাফিতি এঁকে এবং ‘খুনি হাসিনা’র মতো প্রতিবাদী নোট লিখে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শেখ হাসিনার কুখ্যাত নিরাপত্তা সংস্থাগুলো গোপনে শত শত ভিন্নমতাবলম্বী ও বিরোধী কর্মীকে আটক রেখেছিল যে ‘আয়নাঘর’-এ, তার একটি রেপ্লিকাও গণভবনের জাদুঘরে নির্মাণ করা উচিত। আয়নাঘর দর্শকদের গোপন বন্দিদের নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেবে। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু হওয়া হাসিনা শাসনের অপকর্মগুলো জাদুঘরে যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করা হবে। কীভাবে বিপ্লব ও বিদ্রোহের স্মারক জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে তা জানতে তারা অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন।
No comments