সিরিয়ায় ধর্ষণ ‘যুদ্ধাস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে

সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাজার হাজার নারী ও শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। যুদ্ধের বিভিন্ন পক্ষ অব্যাহতভাবে ভয়াবহ এ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। জাতিসংঘের অনুসন্ধানী এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ধর্ষণের শিকার নারী-শিশু, তাদের আত্মীয়স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী, আইনজীবী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে ৪৫৪টি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছেন ইউএন কমিশন অব ইনকয়ারির তদন্তকারীরা। ২৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার করা হয়। প্রতিবেদনে জাতিসংঘ তদন্তকারীরা বলেন, অসংখ্য নারী-শিশু-কিশোরী এমনকি ছেলেদেরকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করেছে সিরিয়ার সরকারি ও মিত্রবাহিনী। সরকারবিরোধী গোষ্ঠীকে শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে তারা। গত প্রায় ৮ বছরের যুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। তবে সরকারি বাহিনীর তুলনায় তাদের নির্যাতনের মাত্রা কম।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আইএস এবং অন্য গোষ্ঠীগুলো অবৈধ যৌনাচারের অভিযোগে অসংখ্য নারী, পুরুষ এবং শিশু-কিশোরকে শির-েদ করে হত্যা করেছে। শিশু-কিশোরীদেরকে জোর করে তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে বিয়ে বা যৌনতায় বাধ্য করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহযুদ্ধের শুরুর দিকে বাড়ি তল্লাশিকালে এবং স্থল অভিযানের সময় অসংখ্য বেসামরিক নারী-পুরুষকে ধর্ষণ করেছে সরকারি বাহিনী। পরে সেনা চৌকি ও বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে নিয়ে তাদেরকে ধর্ষণ করা হয়। তদন্তকারীরা বলেন, ‘সিরিয়ার সরকারের সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে অন্তত ২০টি আস্তানা নারী ও মেয়ে শিশুদের ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া পুরুষ ও বালকদের ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১৫টি আস্তানা।’ এদিকে অবরুদ্ধ পূর্ব ঘৌটা থেকে বৃহস্পতিবার কয়েক হাজার অধিবাসী বের হয়ে সরকার-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আশ্রয় নিয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ শুক্রবার জানান, বৃহস্পতিবার প্রায় ২০ হাজার বাসিন্দা পূর্ব ঘৌটা ছেড়েছেন।

No comments

Powered by Blogger.