গোর্খা নেতা বিমল গুরুংকে গ্রেপ্তার করতে বাধা রইল না

গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাবেক প্রধান বিমল গুরুংকে গ্রেপ্তার করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামনে আর কোনও বাধা নেই। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে গুরুংয়ের আরজি খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, পাহাড়ে ক্ষমতার কোনওরকম অপব্যবহার করেনি রাজ্য সরকার। আদালতের এই রায় শুনে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, এই রায়ে আমরা খুশি। গুরুংয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, গুরুংয়ের বিরুদ্ধে প্রায় একশ মামলা রয়েছে। এমনকি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে ইউপিএ আইনেও মামলা রয়েছে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। রাজ্য সরকারের অভিযোগ, পাহাড়ে অশান্তি চলার পিছনে মূল কারিগর ছিলেন সাবেক এই মোর্চা নেতা । অশান্তি ছড়ানো, বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, জঙ্গি কার্যকলাপসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।  একসময় দার্জিলিং থেকে পালিয়ে সিকিমে আশ্রয় নিয়েছিলেন গুরুং। তাকে সেই সময় সমর্থন জানিয়েছিল সিকিম প্রশাসন। এমনকি সিকিম বিধানসভায় আলাদা গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন করে প্রস্তাবও পাশ হয়েছিল।  সিকিম পুলিশের বাধায় পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি একবার গুরুংকে হাতে নাগালে পেয়েও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পরবর্তীকালে সিকিম সরকার নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। এরপরেই গুরুং সিকিম থেকে পালিয়ে দিল্লি চলে যান। সেখান থেকেই তিনি আইনি লড়াই শুরু করেছিলেন। কিন্তু এদিন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তার সেই লড়াইও অকেজো হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই গুরুং ঘনিষ্ট বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।  এখন পুলিশ গুরুংকে গ্রেপ্তার করতে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে।  অন্যদিকে সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামরিংয়ের সঙ্গে শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে  গুরুংকে মদত দেয়ার প্রসঙ্গটি মমতা উত্থাপন করছেন বলে জানা গেছে।

No comments

Powered by Blogger.