মার্চেই ভেঙে দেয়া হবে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট

মার্চেই অর্থাৎ এ মাসেই ভেঙে দেয়া হতে পারে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্ট। এরপরেই নির্বাচন দেয়া হতে পারে। মালয়েশিয়ার অনলাইন স্টার পত্রিকাকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে কবে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া হতে পারে তার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ জানানো হয় নি। কোন সূত্র থেকে এ তথ্য পেয়েছে পত্রিকাটি তারও উল্লেখ করে নি। এতে বলা হয়, আগামী ২৮ বা ২৯ বা ৩০ শে মার্চ পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া হতে পারে। সেটা হলে আগস্টের মধ্যে সেখানে নির্বাচন হবে। তবে মে মাসের প্রথমার্ধেই সেখানে নির্বাচন পরিচালনার জন্য আসতে পারে নতুন সরকার। এই সরকার কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার নাকি অন্য নামে ডাকা হবে তাও উল্লেখ করা হয নি ওই রিপোর্টে। তবে বলা হয়েছে, এপ্রিলের শেষ বা মে মাসের শুরুতে হতে পারে নতুন নির্বাচন। ওই নির্বাচনে কে আসবেন রাষ্ট্রক্ষমতায় সেদিকে তাকিয়ে দিন গণনা শুরু করেছেন মালয়েশিয়ানরা ও দেশি বিদেশী পর্যবেক্ষকরা। কারণ, নির্বাচনের মাঠে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাককে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নেমে পড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আধুনিক মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির মোহাম্মদ। এ সপ্তাহে নাজিব রাজাক বলেছেন, নির্বাচনে বিজয়ের ব্যাপারে তিনি আস্থাশীল। তিনি আরো বলেছেন, এপ্রিলের দিকে হতে পারে ওই নির্বাচন। নাজিব রাজাক সরকারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ শে জুন। কিন্তু তার সরকারের বিরুদ্ধে রয়েছে মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ। তার মধ্যে অন্যতম রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ‘ওয়ান মালয়েশিয়া ডেভেলপমেন্ট বেরহাদ’ (১এমডিবি) দুর্নীতি। এই তহবিলের অর্থ নাজিব রাজাকের ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে হস্তান্তরের অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ নিয়ে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক চিত্র পাল্টো গেছে। ১৯৫৭ সালে বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে মালয়েশিয়া। তার পর থেকে সেখানে ক্ষমতা ধরে রাখে। এই ধারা এবার হুমকিতে পড়তে পারে বলে বলা হচ্ছে। কারণ, নাজিব রাজাকের সামনে দাঁড়িয়ে গেছেন মাহাথির মোহাম্মদ। যার নাম উচ্চারণ করলেই পৃথিবীর বেশির ভাগ মানুষ তাকে চেনেন। মালয়েশিয়ার মানুষ তাকে কুর্নিশ করেন। তিনি বিরোধীদের নির্বাচনী জোট গড়ে তুলেছেন। তিনিউ বর্তমানে ক্ষমতাসীন ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন। তার ধাক্কার সামনে নাজিব রাজাক কি টিকে থাকতে পারবেন! সময়ই দেবে এ প্রশ্নের উত্তর।

No comments

Powered by Blogger.