রাজনীতিবিদ নির্বাহীরা যেভাবে ব্যবস্থাপনার কলাকৌশল রপ্ত করতে পারেন by ড. সা’দত হুসাইন

রাজনীতিবিদরা মানুষ নিয়ে কাজ করেন। মানুষের ভোটেই তারা নির্বাচিত হন। ফলত নির্বাহী পদে অধিষ্ঠিত হন। নির্বাহী পদে নির্বাচিত হওয়ার আগে তাদের দায়-দায়িত্ব এক ধরনের থাকে। নির্বাচিত ব্যক্তি হিসেবে নির্বাহী পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর তাদের কাজের ধারা, দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা বদলে যায়। এ সময় তাদের মূল কাজ হয় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা। ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন দিক রয়েছে, যেমন- কর্মী ব্যবস্থাপনা, সাধারণ ব্যবস্থাপনা, সম্পদ ব্যবস্থাপনা, হিসাব ব্যবস্থাপনা, উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যবস্থাপনা, জনসংযোগ ব্যবস্থাপনা এবং সর্বোপরি ভোটার ব্যবস্থাপনা।
এসব কিছুর প্রতি একজন নির্বাহীকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হয়, উদ্যোগী ভূমিকা গ্রহণ করতে হয়। নির্বাচিত নির্বাহীদের মধ্যে এক বিরাট অংশ ব্যবস্থাপনাবিষয়ক কাজে প্রশিক্ষিত বা অভিজ্ঞ থাকেন না। ফলে এসব বিষয়ে তাদের অনেক ঘাটতি থেকে যায়। নির্বাহী পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর সময়-সুযোগের অভাব এবং অহমিকা বোধের কারণে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তারা কোনো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন না বা করতে চান না। ফলে দেখা যায়, প্রশাসনিক কাজে তারা অনেক ভুল করেন এবং অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। দায়বদ্ধতার প্রশ্ন উঠলে তারা ঠিকমতো জবাবদিহি করতে পারেন না। সবচেয়ে বড় অসুবিধা হয় সম্পদ ও হিসাব ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে। এ এলাকায় তাদের এমন মারাত্মক ঘাটতি থাকে যে তাদের কার্যাবলী অডিটর বা নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে অনৈতিক, নিয়মবহির্ভূত ও দুর্নীতিযুক্ত বলে বিবেচিত হয়। নিজে বড় রকমের অন্যায় বা দুর্নীতি না করলেও তত্ত্বাবধানের ব্যর্থতা তাদের বিপাকে ফেলে। অডিটর অথবা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (Regulatory Authority) বুঝতে চায় না যে, কোনো কোনো নির্বাহী ন্যূনতম অভিজ্ঞতা বা প্রশিক্ষণ ছাড়াই স্বপদে অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। তিনি তার বুদ্ধি-বিবেচনা এবং কিছুটা মর্জি অনুযায়ী সরল বিশ্বাসে অনেক কাজ করেছেন। তাদের মতে এসব কাজ হিসাব-নিকাশের রীতি-পদ্ধতি এবং ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত বিধি-নিষেধের পরিপন্থী। সুতরাং তাদেরকে আইন-কানুনের আওতায় এনে জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে। সুশাসন বা সু-ব্যবস্থাপনার কলাকৌশল আপনাআপনি রপ্ত করা যায় না। এর জন্য প্রাসঙ্গিক লোকজনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করতে হয়, সংশ্লিষ্ট বিষয়ের ওপর প্রণীত বইপত্র পড়তে হয় এবং এতদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হয়। একজন রাজনীতিবিদ নির্বাহীকেও ধারাবাহিকভাবে তার কাজ শিখতে হয়। যেমন- যে সংগঠনের তিনি প্রধান নির্বাহী হয়েছেন সে সংগঠনের কাঠামো, এ সংগঠনের সঙ্গে উপর, নিচ ও পাশের সংগঠনের সম্পর্কের সমীকরণ, সংগঠনের আওতায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কাজকর্ম সম্পাদনের রীতিনীতি তাকে ভালোভাবে জানতে হয়। নির্বাচিত নির্বাহী ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, ক্রীড়া পরিষদ, সরকার কিংবা মন্ত্রণালয় যে কোনো সংগঠনের প্রধান হোন না কেন, উপরোক্ত বক্তব্য সবার জন্য প্রযোজ্য। এ অঞ্চলে অনুসৃত পার্লামেন্টারি ব্যবস্থায় একজন ব্যক্তি মূলত আইনপ্রণেতা (Law maker) হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর তিনি দেশের প্রধান নির্বাহী (Executive) বা প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারেন। আবার যদি তিনি মন্ত্রিসভার সদস্য অর্থাৎ মন্ত্রী হন, তখন তিনি তার মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী রূপে পরিণত হন। এ উভয় ক্ষেত্রেই প্রধান নির্বাহী হিসেবে তাদের বহু সিদ্ধান্ত নিতে হয়, যার সঙ্গে ব্যবস্থাপনা, প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়ের নানা রীতি-পদ্ধতি জড়িত থাকে। তাদের প্রত্যেককে সরকারের সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামো, মন্ত্রণালয়ের কাঠামো ও কার্যাবলী সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হয়। সরকারি কাজ সম্পাদনের রীতি-পদ্ধতি, কাজ সম্পাদনে নিয়োজিত নির্বাহীদের দায়িত্বাবলী, তাদের সাধারণ ও বিশেষায়িত পরিচয় (Profile) সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হয়। তার আওতাধীন সংগঠনের কোন্ কাজ কোন্ স্তরের নির্বাহী অনুমোদন করবে, কোন্টি অনুমোদনের জন্য তার কাছে আসবে আবার কোন্ কাজ অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা ফোরামে যাবে- এ সম্পর্কে তার সুস্পষ্ট ধারণা থাকা প্রয়োজন। তার এ ধারণাও থাকতে হবে কোন্ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় (Inter Ministerial) অথবা আন্তঃসাংগঠনিক আলোচনার প্রয়োজন। এটি না জানা থাকলে তার মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অসম্পূর্ণ বা অকার্যকর হিসেবে ঊর্ধ্বতন স্তরে নাকচ হবে। সরকারি সংস্থার আচরণ, রীতি, রাষ্ট্রাচার, মর্যাদার ক্রমমান বিষয়ে তার গ্রহণযোগ্য স্তরের জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। অন্যথায় বিভিন্ন সভা-সমিতিতে তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন। এসব বিষয়ে আন্দাজ করে কিংবা শুধু বুদ্ধি-বিবেচনা বলে কাজ চালানো যায় না। একইভাবে কর্মী ব্যবস্থাপনার মূল রীতি-পদ্ধতিও তাকে জানতে হবে। নির্বাহী ও কর্মীদের নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব আইন-কানুন ও বিধি-বিধান রয়েছে তার আলোকেই তাকে কর্মী-শৃঙ্খলা বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে আবেগতাড়িত হয়ে বিধি-বিধানবহির্ভূত কোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যাবে না অথবা ন্যূনতম শারীরিক শক্তিও প্রয়োগ করা যাবে না। তার সহায়ক যেসব পদস্থ নির্বাহী রয়েছেন তাদের এবং প্রয়োজনবোধে সহকর্মীদের বুদ্ধি-পরামর্শ নিয়ে আইন-কানুনের আওতায় ঠাণ্ডা মাথায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় সংগঠনে অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। নির্বাচিত নির্বাহীরা শপথ গ্রহণ কিংবা অন্য কোনো প্রশাসনিক পদ্ধতিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর অনেকটা ঘটা করে নিজ আসনে অধিষ্ঠিত হন। ফুলের তোড়া, মাল্যদান এবং অভিনন্দন বর্ষণের পালা শেষ হওয়ার পর অফিসের কাজ শুরু করেন নির্বাচিত নির্বাহী। চলে ব্যক্তিগত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের পালা। কখনও প্রশাসন থেকে অন্তত কতিপয় ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়া হয়।
অথবা উঁচু স্তরের নির্বাহী হলে কয়েকজন একান্ত সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাহী নিজে পছন্দ করে নিয়োগের ব্যবস্থা করে নেন। তারাই মূলত নথিপত্র নির্বাহীর কাছে উপস্থাপন করেন। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কর্মকর্তা নিজেরা এসে প্রাসঙ্গিক নথি উপস্থাপন করেন। পূর্ব-অভিজ্ঞতা নেই এমন নির্বাহী সহায়ক কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী নথিতে স্বাক্ষর করে সিদ্ধান্ত দেন। সাধারণত কেউ তাকে অফিসের পরিচালনা সম্পর্কে কোনো উপদেশ-পরামর্শ দেন না। ব্যতিক্রমী দু’-একজন ছাড়া কোনো নির্বাহী এ ধরনের পরামর্শ চান না। নথির পর নথি আসতে থাকে। নির্বাহী স্বাক্ষর করে যান। অথবা কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী নথিতে প্রশ্ন রাখেন বা ভিন্নতর আদেশ দেন। দু’ক্ষেত্রেই তিনি নিজের জ্ঞান ও বুদ্ধি-বিবেচনা খরচ করার সুযোগ পান না বললেই চলে, যদিও সিদ্ধান্তের জন্য পুরো দায়-দায়িত্ব তাকে বহন করতে হয়। কারণ নথিতে স্বাক্ষরের মাধ্যমে তিনি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এরপর যে বিষয়টি তাকে মোকাবেলা করতে হয় তা হল তার প্রাপ্যতা ও অধিকার (Entitlement)। নির্বাচিত নির্বাহীদের প্রায়শই জানা থাকে না তারা কী ধরনের ক্ষমতার অধিকারী, কী সব আসবাবপত্র, সরঞ্জামাদি তারা পাবেন, কী তার সীমাবদ্ধতা। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় তাকে একান্ত সচিব এবং সংগঠনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করতে হয়। এতদঞ্চলে এরা সাধারণত তাঁবেদার, মোসাহেব চরিত্রের হয়ে থাকেন। নির্বাচিত নির্বাহী সতর্ক, সচেতন না থাকলে কর্মকর্তারা তাকে বিভ্রান্তমূলক তথ্য দিয়ে বেআইনি চাহিদা প্রদানে উৎসাহিত করবেন। তারা বলবেন, এত হাজার কিংবা এত লাখ লোক ভোট দিয়ে তাকে নির্বাচিত করেছে। অতএব তিনি যা ইচ্ছা চাইতে পারেন, এতে আইন-কানুন, বিধি-বিধানের সীমাবদ্ধতা মানার প্রয়োজন নেই। বিধি-নিষেধ সাধারণ মানের কর্মকর্তাদের জন্য। তার মতো নির্বাচিত ব্যক্তিকে এসব দিয়ে আটকিয়ে রাখা যাবে না। তিনি তার ইচ্ছামতো জিনিসপত্র চাইতে পারেন এবং ইচ্ছামতো কাজ করতে পারেন। অথচ প্রকৃত বিধান সম্পূর্ণ ভিন্ন, নির্বাহী নির্বাচিত কিংবা অনির্বাচিত যা-ই হোন না কেন, তাকে আইন ও বিধি-বিধানের আওতায় কাজ করতে হবে। প্রতিটি কাজের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। সে জবাবদিহি শুধু ভোটারের কাছে নয়, তা হবে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রাসঙ্গিক প্রতিষ্ঠানের কাছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক। ক্ষমতায় থাকাকালে নানা কৌশলে এদের এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ক্ষমতা হারানোর পর এ প্রতিষ্ঠানগুলো চারদিক থেকে তাকে আঁকড়ে ধরবে। তখন তাকে একাই জবাবদিহি করতে হবে। কু-বুদ্ধি দেয়া সহায়ক কর্মকর্তারা সুযোগ বুঝে সটকে পড়বেন অথবা নির্র্র্লজ্জভাবে বিপক্ষে অবস্থান নেবেন। তদারকি (Supervision) ও পরিবীক্ষণ (Monitoring) একজন নির্বাহী তথা সংগঠনের প্রধান নির্বাহীর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নির্বাহী সব কাজ নিজে করেন না। তিনি নির্দেশ দেন। অন্যরা সে নির্দেশ অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করেন। নিয়মিত তত্ত্বাবধান ও মনিটরিংয়ের মাধ্যমে প্রধান নির্বাহীকে নিশ্চিত করতে হবে যে তার নির্দেশ যথাযথভাবে প্রতিপালিত হচ্ছে। তত্ত্বাবধান ও মনিটরিংকে কার্যকর রূপ দেয়ার কিছু পদ্ধতি ও কৌশল রয়েছে। শিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এ কৌশল রপ্ত করা যায়। পদস্থ কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে প্রধান নির্বাহীকে সহায়তা করতে পারেন। সে সহায়তা আদায় করতে হলে প্রধান নির্বাহীকে তদারকি ও মনিটরিংয়ের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে চলনসই ধারণা অর্জন করতে হবে। অন্যথায় দেখা যাবে তার আওতাধীন নির্বাহীরা নিজেদের মর্জিমাফিক কাজ করছেন। প্রধান নির্বাহীর নির্দেশ ঠিকমতো পালিত হচ্ছে না। যে কাজ তিনি করতে চেয়েছিলেন, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও সে কাজ সম্পন্ন হয়নি অথবা বিকৃত অবয়বে তা সম্পন্ন হয়েছে, যা চরম হতাশাব্যঞ্জক। তদারকি ও মনিটরিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলে এরূপ হতাশাজনক অবস্থার উদ্ভব হয় না। সংগঠনের চালিকাশক্তি হচ্ছে বাজেট এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা (কর্মসূচি)। এ দুই বিষয়ের ওপর সংগঠনের প্রধান নির্বাহীর মোটামুটি ধারণা থাকতে হবে। দুটি বিষয়ই সংখ্যা বা অঙ্কভিত্তিক, যে সম্পর্কে অনেক রাজনীতিবিদ নির্বাহীর আশৈশব লালিত ভয় রয়েছে।
এ ভয় থেকে তাদের সহজে উত্তরণের পথ কেউ বাতলে দেয়নি। একজন প্রধান নির্বাহী হিসেবে কাজ চালাতে গেলে সংখ্যা ও অঙ্ক ভীতি তাদের কাটিয়ে উঠতে হবে। বাজেট এবং উন্নয়ন প্রকল্পের মৌলিক কাঠামো, এর শৃঙ্খলা, অনুমোদন, বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সম্পর্কে তার কাজ চালানোর মতো ধারণা থাকতে হবে। সহজ প্রশিক্ষণ বা অবহিতকরণ কর্মসূচির মাধ্যমে এ ধারণা অর্জন করা যেতে পারে। ধারণা অর্জন করা ছাড়া তিনি কাজ চালাতে পারবেন না। পদে পদে হোঁচট খাবেন। সহায়ক কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বেন। সঠিক তত্ত্বাবধানের অনুপস্থিতিতে এমনসব ভুল-ভ্রান্তি এবং দুর্বল সিদ্ধান্ত ভিড় জমাতে পারে, যা পরবর্তীকালে তাকে বিপাকে ফেলতে পারে। বাজেট এবং উন্নয়ন পরিকল্পনাকে কোনোভাবেই একজন প্রধান নির্বাহীর অবহেলা করা সমীচীন হবে না। ব্যবস্থাপনার কিছু মৌলিক কলাকৌশল একজন নির্বাহী তথা প্রধান নির্বাহীকে অবশ্যই জানতে হবে। রাজনীতিবিদ কিংবা অ-রাজনীতিবিদ নির্বিশেষে সবার জন্য এ সত্য প্রযোজ্য। প্রধান নির্বাহীর আশপাশে লোকজন তাকে এই বলে বোঝাতে চেষ্টা করবেন যে, পদ-পদবির মাহাত্ম্যে তিনি সবকিছু জেনে যাবেন, সব সমস্যা উতরে যাবেন। তারা গৎবাঁধা প্রবাদ বলবেন, 'Chair makes a man fit'। কিন্তু এটি বড়জোর আংশিক সত্য। বাস্তবিকপক্ষে তা অসত্য। একজন প্রধান নির্বাহীর জন্য সত্য কথা হচ্ছে, প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই, প্রশিক্ষণ গ্রহণের কোনো বয়স নেই। একজন লোক প্রয়োজনমতো সারাজীবনই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারেন।
ড. সা’দত হুসাইন: সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান

No comments

Powered by Blogger.