মিথ্যাচারী রাজনীতিবিদ কিন্তু জনতার আস্থায় by আলমগীর মহিউদ্দিন

সত্য-মিথ্যা এবং রাজনীতিবিদ প্রায় সব আলোচনার একটি অঙ্গ। এর মধ্যে রাজনীতি, রাজনীতিবিদ এবং মিথ্যা এক সুতোয় বাঁধা বলে সর্বজনীন সত্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়। তাই এ প্রশ্ন হয়তোবা অবান্তর- রাজনীতিবিদেরা কেন মিথ্যা বলেন। বছর কয়েক আগে (২০১২) মার্কিন টিভি সিবিএসের এক আলোচনায় সবাই একমত হন ‘মিথ্যাচারী রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদ এখন জীবনের একটি অঙ্গ। মার্কিনিরা তিনটি জিনিস ধ্রুব বলে মনে করে- আকাশ নীল, পোপ হলেন ক্যাথলিক এবং রাজনীতিবিদেরা মিথ্যাবাদী।’ রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক ডেভিড গ্রিনবার্গ তার এক প্রবন্ধে বলেছেন, ‘যারা প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী তারা সাধারণত জনগণের প্রয়োজন ও স্বার্থ হিসেবে যেসব বিষয়ের অবতারণা করেন এবং তার সমর্থনে তিনি প্রার্থী বলে ঘোষণা দেন, আসলে সেসব বিষয়ই তাদের নিজের স্বার্থ।
এর সমর্থনে যেসব কথা বলে থাকেন, তার বেশির ভাগই মিথ্যা।’ তিনইি প্রশ্ন করেছেন, ‘তাহলে জনগণ বুঝতে পারছে না কেন এবং তাকে তারা কেন তাদের বিশ্বাস করছেন?’ এর আলোচনা করতে গিয়ে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের আর এক ঐতিহাসিক, এইচ ডাবলু ব্রান্ডস বলেছেন, ‘এর কারণ ভোটারেরা বিশ্বাস করেন, প্রার্থীরা কখনো সত্য বলেন না এবং তাদের প্রচারকালীন প্রতিশ্রুতিও সত্য নয়। তবে তারা লক্ষ করেন, প্রার্থী তারা যা কিছু চাইছেন বা ভাবছেন, তেমন কথা বলছেন কি না। বাস্তবে তার প্রতিফলন হবে না তা তারা ধরে নেন। শুধু তাদের কথা বলার জন্য মিথ্যাচারী রাজনীতিবিদদের তারা সমর্থন দেন।’ ব্রান্ডসের বক্তব্যে আজকের দুনিয়ার রাজনীতির কর্মকাণ্ডের চমৎকার মিল পাওয়া যায়। মজার কথা হলো, আজকের সমালোচকেরা এই মিথ্যাচারকে কখনো সরাসরি মিথ্যা বলে অভিহিত করেন না। তারা বলেন, ‘প্রায় সত্য’ অথবা ‘গভীরভাবে আচ্ছ্বাদিত সত্য’। মার্কিন ডেমোক্র্যাট দলের স্ট্র্যাটেজিস্ট জামাল সিমনস একটি ব্যাখা দিয়েছেন, কেন রাজীতিবিদেরা মিথ্যা বলেন। তার প্রধান বক্তব্য হলো, ‘রাজনীতি প্রধানত মিথ্যার ওপর নির্ভরশীল। তাই প্রার্থীরা এর সাহায্য নেন।’ যেহেতু তাদের প্রধান লক্ষ্য নির্বাচনে জয়লাভ, সেজন্য তাদের মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। আরেকজন রাজনৈতিক লেখক মাইকেল ওয়ালজার লিখেছেন, ‘রাজনীতিবিদ যদিও নৈতিকতার দিকে থাকতে চান, সেটা সম্ভব হয় না। কারণ তারা জানেন অন্যরা জনে (তার প্রতিপক্ষরা) অনৈতিক ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নির্বাচন জিতে নিতে প্রস্তুত।’  অন্য দিকে, ভোটারদের আস্থা এবং নিয়ন্ত্রণ প্রায়ই স্থানীয় নৈতিকতাহীন মোড়ল বা এমন শ্রেণীর হাতে থাকে। তাই বাধ্য হয়েই নৈতিকতাসম্পন্ন প্রার্থীকে নির্বাচনে জিততে হলে এই স্থানীয় মোড়লদের সাথে অনৈতিক চুক্তি করতে হয়।বিভিন্ন বিষয়ে তাদের অবস্থান কী, জনগণ বা ভোটারের তার কতটুকু জানা প্রয়োজন? জনগণ যেমন জানতে চায় প্রার্থী কে এবং কী করবে, তেমনি প্রার্থীর প্রয়োজন জনগণ কী চায় এবং কোন কথা বা তথ্য বললে তার নির্বাচনে জয় হবে নিশ্চিত। এ বিষয়ের ওপর চমৎকার অনুসন্ধান চালিয়েছেন উইলিয়াম স্মিথ কলেজের দর্শনের অধ্যাপক এরিক বারনেস। তিনি ‘কয়েদির উভয়সঙ্কট’ বলে পরিচিত বিখ্যাত তত্ত্ব উল্লেখ করেছেন। তা হলো- পুলিশ দু’জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। যদি এক সন্দেহভাজন অপর নিশ্চুপ সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয় তবে সে মুক্ত হবে এবং নিশ্চুপ সন্দেহভাজনের তিন বছরের জেল হবে। যদি দু’জনই সাক্ষ্য দিতে রাজি থাকে, তবে দু’জনই দু’বছরের জন্য জেলে যাবে। আর যদি দু’জনই চুপ থাকে, তবে তারা কারারুদ্ধ থাকবে এক মাস। তারা দু’জনই মুক্ত হওয়ার জন্য একে অন্যের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলো এবং পরিণামে চার বছরের জেল হবে। রাজনীতিবিদদের অবস্থা প্রায় সময়ই এই ‘বন্দীর উভয় সঙ্কটের’ মতো। সব কথা পরিষ্কার বলা যাবে না, আবার অগোচরেও রাখা বিপজ্জনক। এই একই তত্ত্বের ব্যবহার করে বারনেস যুক্তি দিয়েছেন যে, রাজনীতিবিদদের তাই ‘অস্পষ্টতা ও মিথ্যাচারের’ আশ্রয় নিতে হয়। তারা বড় বড় কথা বলবেন অথবা অস্পষ্ট দুর্বোধ্য তত্ত্বের অবতারণা করবেন। সমস্যা হয় যখন প্রতিপক্ষ তাকে উলঙ্গ করার প্রচেষ্টায় নানা তথ্যের আমদানি ঘটায়। ফলে প্রার্থীও তেমনি প্রতিপক্ষের জবাব দেয়ার চেষ্টা করেন। এখান থেকেই সঙ্কট এবং সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। আরো সমস্যা হলো এই বাগাড়ম্বরের মধ্যে জনগণ সঠিক প্রার্থী চিনতে না পেয়ে প্রচারণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভুল প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নানা অশান্তিতে থাকে। তাই অনেকেই বলেছেন, জনগণের সামনে প্রার্থীর প্রকৃত চিত্র থাকতে হবে এবং এখানে সবার সহযোগিতা থাকতে হবে। আসলে এই সমস্যার সমাধান খুবই কঠিন। কারণ প্রার্থীরা তাদের বক্তব্য ও অবস্থানে পরিষ্কার থাকলে জনগণ হয়তো তাদের নির্বাচিতই করবে না। অথচ তারা নির্বাচিত হতে চান।
তাহলে কি নির্বাচনী রাজনীতি থেকে মিথ্যাচারকে বাদ দেয়া যাবে না? বারনেস বলছেন, ‘এমনটি হওয়ার সম্ভাবনা অদূরভবিষ্যতে নেই। অতীতেও ছিল না। কেননা অসাধুতা ও প্রতারণা এই পদ্ধতির একটি অংশ। তবে হয়তো কখনো ভোটারেরা বিরক্ত হয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করে এই ব্যবস্থার রশি টেনে ধরবেন এবং সরকারের ক্ষমতাকে সীমিত করবেন (Since dishonesty is inherent in electoral politics, perhaps some day disgusted voters will revolt and rein in the size and scope of the government)। বারনেস বলছেন, সেদিন না আসা পর্যন্ত জনগণের সামনে একটি পথই খোলা। তা হলো এই মিথ্যাচারী ক্ষমতালোভী শক্তিমানদের সম্পর্কে সজাগ হওয়া এবং ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করা। তাদের মিথ্যার মুখোশ উন্মুক্ত করার চেষ্টা করা। বিখ্যাত লেখিকা হাননাহ আরেনডট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাড়া জাগানো ঘটনার (পেন্টাগন পেপারস প্রকাশনা- যেখানে সে দেশের বিভিন্ন যুদ্ধে জড়িয়ে থাকার নানা অনাচারের ঘটনাগুলোর বর্ণনা ছিল) পরে ‘লাইং ইন পলিটিকস’- রাজনীতিতে মিথ্যাচার- নামে এক গবেষণামূলক প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। এখানে তিনি দেখান কেমন করে স্বল্পসংখ্যক মানুষ সরকার দখল করে অথবা ক্ষমতাসীনদের নানা পন্থায় নিয়ন্ত্রণ করে নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করে এবং কিছু করপোরেট শক্তি অস্ত্র কেনাবেচায় জাতীয় অর্থনীতিকে ব্যবহার করে। হাননাহ বলেন, ‘মিথ্যাচার যত বিশাল এবং সুনিপুণভাবে বলা হোক না, সত্যের কাছে অবশেষে পরাজিত হবেই। কেননা সত্যের বিশালত্ব তার চেয়ে বড়।’ ইতিহাসে এই মিথ্যা উন্মোচনের ঘটনা ঘটেছে বারবার, তবে সবসময়ই বিশাল মূল্যের পরিবর্তে। কারণ মিথ্যা দিয়ে তাৎক্ষণিক লাভ হয়ে থাকে। ফলে এক বিশালসংখ্যক মানুষ এতে আকৃষ্ট হয়। এর আরেকটি কারণ উল্লেখ করেছেন ইতালিয়ান দার্শনিক নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি। ‘যদি কোনো কাজের জন্য (কেউ) অভিযুক্ত হয়, তাহলে তার ফলই নির্ধারণ করবে সে সেই ঘটনা থেকে মুক্ত হবে কি না। তবে ফল ভালো হলে সে মুক্ত হয়।’ দৈনন্দিন জীবনে ম্যাকিয়াভেলির এই বক্তব্যের প্রতিফলন প্রায়ই দেখা যায়। হাননাহর পেন্টাগন পেপার প্রকাশনার পর লেখা প্রবন্ধটি অত্যন্ত আলোচিত হয়। কারণ মিথ্যাচার রাজনীতি এবং জীবনকে কতখানি আচ্ছন্ন ও নিয়ন্ত্রণ করছে, তা এত চমৎকার করে আগে আলোচিত হয়নি। তিনি বলেছেন, ‘সত্যবাদিতা কখনোই রাজনৈতিক গুণ হিসেবে পরিগণিত হয়নি। মিথ্যাকে রাজনীতির প্রয়োজনীয় হাতিয়ার হিসেবে সবসময় গ্রহণ করা হয়েছে।’ (Truthfulness has never been counted among the political virtues, and lies have always been regarded as justifiable tools in political dealings) বিভিন্ন লেখক তাদের গবেষণায় পেয়েছেন মানুষের পরস্পরবিরোধী জটিল মানবিক গুণাবলির উৎস একই স্থানে। তা হলো মানুষের কল্পনাশক্তি।
এর দ্বারা মানুষ নির্ধারণ করে কখন সে হ্যাঁ বা না বলবে। কল্পনা দিয়েই মানুষ অনুভব করে কোনো কিছুর অবস্থিতি বা অনুপস্থিতি। মিথ্যা ও সত্যের সৃষ্টি এখানেই। তাই যখনই কল্পনাশক্তির বিভ্রান্তি ঘটে তখনই মিথ্যার প্রাধান্য ঘটে। তাই সত্যকে বিপথে নিয়ে যায় মিথ্যা। দেখা যায় একটি সত্যের কোনো এক স্থানে একটু মিথ্যা ছিল, পরে সেই মিথ্যাটাই পুরো সত্যিকে দখল করে নেয়। কোনো ঘটনার বর্ণনা মানুষ ভিন্ন ভিন্নভাবে দেয়। এর কারণ মানুষ ঘটনাকে একই দৃষ্টিতে সবাই দেখে না। এ জন্যই সামষ্টিক অভিজ্ঞতা এবং বক্তব্যের মাঝ দিয়ে বেরিয়ে আসে সত্য। আরেকটি সত্য হলো মানুষের মন ভঙ্গুর- মিথ্যা ভঙ্গুর মনকে সহজেই দখল করতে পারে। তাই যখন কেউ মিথ্যাচার করে তখন তার মনও সেটা বিশ্বাস করতে থাকে। এর আরেকটি কারণ মিথ্যাকে প্রমাণ করা সহজ হয় আরেক মিথ্যা দিয়ে; কিন্তু সত্যকে প্রমাণ করতে অনেক সত্য পাওয়া যায় না। অপর দিকে, মিথ্যাবাদীরা সবকিছু জেনেই মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়। যেমন মিথ্যাচারী বক্তা মিথ্যাচার করবে তখনই যখন সে জানতে পারে তার শ্রোতারা কী জানতে চায় এবং কোন কথাগুলো তাদের প্রিয়। নির্বাচনী বক্তব্যে এই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি লক্ষ করা যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো নির্বাচন প্রার্থীরা প্রায়ই সোজাসাপ্টা মিথ্যা কথা বলেন, ডেভিড কুপেলিয়ান তার বই ‘দি মার্কেটিং অব ইভিল’ বইয়ে বলেছেন। তিনি বলেছেন, মিথ্যার শক্তি এমন বৃহৎ যা আমরা বুঝি না। তবে ছোট্ট মিথ্যায় সে শক্তি নেই। কারণ সাধারণ সবাই তা বোঝে। বিশাল মিথ্যায় এ শক্তি আছে যা সবাই তার আকৃতি অনুধাবন না করতে পেরে বিশ্বাস করে। এ ছাড়া বড় মিথ্যায় কিছু সত্যও নিহিত থাকে। মিথ্যাচারী রাজনীতিবিদেরা এই ছ্ট্টো সত্যের ওপর ভর করে বিশাল মিথ্যাচার করে থাকেন বলে মন্তব্য করেছেন কুপেলিয়ান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সরকারের স্ট্র্যাটেজিক সার্ভিস প্রতিপক্ষ হিটলার তার ফলপ্রসূ প্রচারে কোন বিষয়গুলো ব্যবহার করছে তার অনুসন্ধান করে মোটামুটি সাতটি নিয়মের সন্ধান পায়। তার মূলে হলো মিথ্যাচার। এই স্ট্র্যাটেজিক সার্ভিস পরে সিআইএ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং সেই সাতটি মূলমন্ত্র অনুসরণ করছে। এই সাতটি নিয়ম হলো- ০১. কখনো জনগণকে স্বস্তিতে থাকতে দেবে না,
০২. নিজেদের ভুল বা অন্যায় কখনো স্বীকার করবে না, ০৩. প্রতিপক্ষের কোনো ভালো স্বীকার করবে না, ০৪. কখনো বিকল্পের কথা চিন্তা করবে না, ০৫. কখনো নিজেদের দোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণ করবে না, ০৬. কোনো সময় একজনের বেশি শত্রুর মোকাবেলা করবে না এবং তাকে সব অন্যায়ের জন্য দায়ী করবে, ০৭. মানুষ বড় মিথ্যাকে অবশেষে গ্রহণ করে। হিটলারের প্রচারের একটি স্তম্ভ ছিল বারবার একই জিনিস প্রচার করা। কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন সাধারণত মানসিকভাবে মানুষকে দুর্নীতিগ্রস্ত করা সম্ভব। এ ছাড়া নৈতিকতার বিষয়টি সবাইকে নাড়া দেয়। তাই কারো বিরুদ্ধে নৈতিকতাহীনতার অভিযোগ আনলে তা জনমানসে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। অভিযুক্ত যদিও প্রমাণ করতে সক্ষম হয় অভিযোগটি মিথ্যা, তবুও এই নৈতিকতাসংশ্লিষ্ট অভিযোগ মানুষের মনে রয়ে যায়। এক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, দুই শ্রেণীর মানুষকে মিথ্যা বলতেই হয়। তারা হলেন-রাজনীতিবিদ এবং সেলসম্যান। জনগণও চায় প্রয়োজনে রাজনীতিবিদেরাও মিথ্যা বলুন- আশ্বস্ত করতে, স্বপ্ন দেখাতে এবং সবাইকে কাছে টানতে। একজন রিসার্চার (অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. পল উইলিয়াম) বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদেরা মিথ্যা বলতে বাধ্য হন। কারণ সত্যকে সবসময় ব্যবহার করা সহজ নয়।’ যদিও বলা হয় রাজনীতিবিদেরা মিথ্যা বলেন আর্থিক সুবিধার জন্য, ক্ষমতা দখলের জন্য, আসল সত্য হলো তারা মিথ্যা বলতে পারেন এবং জনগণ অনেক সময়ে সে মিথ্যায় আস্থা রাখে। কারণ এমন মিথ্যা কখনো কখনো আনন্দদায়ক।

No comments

Powered by Blogger.