নিউইয়র্কে হামলাকারী বাংলাদেশী অভিবাসী!

আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের ব্যস্ততম বাস স্টেশনে ঘটা এক বিস্ফোরণকে 'সন্ত্রাসী আক্রমণের চেষ্টা' বলে বর্ণনা করেছেন শহরটির মেয়র বিল দা ব্লাসিও। বিস্ফোরণের পর আহত অবস্থায় আকায়েদ উল্লাহ নামে গায়ে বোমা-বাঁধা এক যুবককে আটক করা হয়েছে। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম তাকে 'বাংলাদেশী অভিবাসী' বলে উল্লেখ করছে। টার্মিনালে সকালের ভিড়ের মধ্যে এক যুবক তার গায়ে-বাঁধা একটি 'নিম্নস্তরের-প্রযুক্তিতে' তৈরি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণে আক্রমণকারীসহ চারজন আহত হয়। সন্দেহভাজন এই ২৭ বছর বয়স্ক যুবকের নাম আকায়েদ উল্লাহ বলে পুলিশ বলছে। নিউ ইয়র্ক টাইমসসহ একাধিক মার্কিন সংবাদ মাধ্যম পুলিশকে উদ্ধৃত করে বলছে, আকায়েদউল্লাহ একজন বাংলাদেশী অভিবাসী এবং ব্রুকলিন এলাকার বাসিন্দা। নিউইয়র্ক থেকে একজন সাংবাদিক লাভলু আনসার বিবিসি বাংলাকে জানান, আকায়েদ উল্লাহ ব্রকলিনের ফ্ল্যাটল্যান্ডস এলাকার থাকতো । তার বাড়িটি এখন ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। আকায়েদ উল্লাহ একটি বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকানে কাজ করতেন এবং সেখানেই বোমাটি তৈরি করা হয় বলে জানা গেছে। এএফপির খবরে বলা হয়, আকায়েদ পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ইসলাসিক স্টেটের ওপর মার্কিন বিমান হামলার প্রতিশোধ নিয়েত চেয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কথিত সন্দেহভাজন লোকটি মাটিতে পড়ে আছে, তার কাপড়চোপড় ছেঁড়া এবং শরীরের ওপরের অংশ ক্ষতবিক্ষত। সংবাদ মাধ্যমে বলা হয় - এই ব্যক্তি হয়তো একটি আত্মঘাতী হামলা চালাতে চেয়েছিল । তার দেহে পাইপবোমা এবং তার বাঁধা ছিল। পাইপ বোমাটি আংশিকভাবে বিস্ফোরিত হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। মেয়র দা ব্লাসিও বলেছেন, এটিকে মাত্র একজন আক্রমণকারীর কাজ বলেই তারা মনে করছেন। সন্ত্রাস দমন পুলিশ এবং দমকল বাহিনীর লোকেরা শত শত লোককে বাস টার্মিনাল এবং তার নিচের পাতাল রেল স্টেশন থেকে বের করে নিয়ে আসে। ঘটনার পর টার্মিনালটি এবং টাইমস স্কোয়ার সাবওয়ে স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার কথা ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জানানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.