ব্লগার রাজীব হত্যায় রানা-দীপের মৃত্যুদণ্ড বহাল

গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় নিন্ম আদালতে দু'জনের মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য আসামিদের দেয়া বিভিন্ন মেয়াদের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। রোববার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে বাড়ির কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজীবকে। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বিচারিক আদালতের দেয়া রায়ে দু’জনকে মৃত্যুদণ্ড ও আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানীসহ অন্য ছয় আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। হত্যার ঘটনা তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ। ওই বছরের ১৮ মার্চ চার্জ (অভিযোগ) গঠন করে তাদের বিচার শুরু করেন আদালত। ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহম্মেদ এ মামলার রায়ে দু'জনকে মৃত্যুদণ্ড ও অন্যদের কারাদণ্ডাদেশ দেন। রায়ে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র পলাতক রেদোয়ানুল আজাদ রানা ও ফয়সাল বিন নাঈম দীপের ফাঁসির আদেশ হয়।
ওই দু’জনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশও দেন আদালত। এছাড়া মাকসুদুল হাসান অনিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বাকি পাঁচজনের মধ্যে এহসান রেজা রুম্মান, নাঈম ইরাদ ও নাফিজ ইমতিয়াজকে ১০ বছরের কারাদণ্ডসহ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। মুফতি জসীমউদ্দিন রাহমানীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডসহ দুই হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক। আর সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ দুই হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের পর মামলার নথিপত্র গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে আসে। পরে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নির্দেশনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলাটি হাইকোর্টে শুরু হয়, যার চূড়ান্ত রায় হল আজ।

No comments

Powered by Blogger.