ডব্লিউএইচওর ‘অটিজম আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়ন’ সায়মা ওয়াজেদ

বিশেষ চাহিদার শিশুদের চিকিৎসা ও সচেতনতায় অবদান রাখায় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ‘অটিজমবিষয়ক চ্যাম্পিয়ন’ ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার সকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিল্লি কার্যালয় অটিজমবিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি পুতুলকে এ সম্মানে ভূষিত করে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য পুতুলের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন, সচেতনতা বাড়ানো, দুর্ভোগের জায়গাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান এবং তাদের বাবা-মা ও যত্মকারীদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কারণেই তাকে এ সম্মাননা দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। অটিজম সচেতনতায় বিশ্বে ‘রোল মডেল’ এখন বাংলাদেশ। এদিকে অটিজম সচেতনতায় বিশ্বে ‘বাংলাদেশ রোল মডেল’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার গত ৮ বছর ধরে অটিজম ও অন্যান্য নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণ ও অধিকার নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশকে অটিজম সচেতনতার ক্ষেত্রে বিশ্বের বুকে রোল মডেলে পরিণত করেছে।
বাংলাদেশ এ অঞ্চলের গুটিকয় দেশের মধ্যে অন্যতম, যে দেশ শুধু প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সংক্রান্ত কনভেনশনই নয়, এ সংক্রান্ত অপশনাল প্রটোকলও অনুস্বাক্ষর করেছে। তাছাড়া জাতীয় সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় (২০১৬-২০২১) বাংলাদেশ সরকার অটিজম, নিউরো ডেভলপমেন্ট ডিজঅর্ডার ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক ইস্যুগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য, বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা হোসেনের অটিজম সংক্রান্ত অবদানের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত মোমেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধরনের সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে নিরলসভাবে অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রাখার জন্য তিনি পৃথিবীর অসংখ্য মানুষের কাছে অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। বাংলাদেশ মিশনের সঙ্গে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে কাতার মিশন ও  অটিজম স্পিকস গ্লোবালি। অনুষ্ঠানের স্পন্সর করে চীন, ভারত ও তুরস্কের স্থায়ী মিশন। বৈঠকে জাতিসংঘের কমিউনিকেশন অ্যান্ড পাবলিক ইনফরমেশন বিভাগের সহকারী মহাসচিব মাহের নাসের জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্য পড়ে শোনান। এছাড়া কাতার, ভারত, বুলগেরিয়া, চীন ও তুরস্কের স্থায়ী প্রতিনিধি ও অটিজম স্পিকস গ্লোবালির সভাপতি উদ্বোধনী বক্তব্য দেন।

No comments

Powered by Blogger.