ফের শুরু অপারেশন 'ঈগল হান্ট', গুলিবিনিময়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুরে শিবনগর গ্রামের 'জঙ্গি আস্তানায়' দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু হয়েছে। চলছে উভয়পক্ষের গুলিবিনিময়। শুনা যাচ্ছে মুহুর্মুহু গুলির শব্দ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দ্বিতীয় বারের মতো এ অভিযান শুরু হয়। ভোর ৬টা থেকে বাড়িটি ঘিরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে সংবাদ সংগ্রহের জন্য ভোর থেকেই অবস্থান করছেন। অপারেশনের অংশ  হিসেবে মহিলা পুলিশের একটা টিম ঘটনাস্থলে এসেছে। সকাল ৮টার দিকে ডিবি ইন্সপেক্টর সারওয়ার রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সকাল থেকেই মাঝে মাঝে ঘিরে রাখা বাড়ির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিলো। এর আগে বুধবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা থেকে সোয়াত টিম শিবগঞ্জ আসার পর আস্তানাটির দেয়াল ভেঙে অভিযান শুরু করে সোয়াত। সে সময় এর নাম দেয়া হয় 'ঈগল হান্ট'। জঙ্গি আস্তানা ঘিরে বুধবার সকাল ১১টা থেকে জারি করা ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে। আশপাশের এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। আবু (৩০) নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রী-সন্তনসহ আস্তানায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন বাড়ির মালিকের ছেলে ও আবুর মা। আবুর স্ত্রী-সন্তান ছাড়াও বাড়িতে আরও দু'জন থাকতে পারেন বলে পুলিশের ধারণা।
এর আগে বুধবার ভোর ৫টা থেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। কাউন্টার টেরোরিজমের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, শিবনগর এলাকায় সাইদুর রহমান জেন্টু হাজী নামে এক ব্যক্তির বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়। জেলা পুলিশ সুপার মুজাহিদুল ইসলাম জানান, অপারেশনের নাম দেয়া হয়েছে 'অপারেশন ঈগল হান্ট'। এই অভিযান বুধবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় শুরু হবার পর রাত সাড়ে ৮টায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আজকের (বুধবার) জন্য অপারেশন স্থগিত করা হয়েছে। কাল (বৃহস্পতিবার) অভিযান ফের শুরু হবে।' এর আগে আবুকে আত্মসমর্পণের জন্য তার মা ও পরিবারের সদস্যদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। বিকালে আবুর চাচি চামেলি বেগম, ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রুনা বেগমকে নিয়ে তার মা ওই বাড়ির দরজার সামনে পর্যন্ত যান। এ সময় মাইকে তারা আবুকে বাড়ির বাইরে বের হয়ে আসার আহ্বান জানান। বেশ কয়েকবার আহ্বান জানানোর পরও ভেতর থেকে কোনো সাড়া মেলেনি। তাদের সঙ্গে পুলিশ ছিল।

No comments

Powered by Blogger.