‘সেঞ্চুরি’ করেও আগুয়েরোর আক্ষেপ

মাইলফলক ছোঁয়া গোলের পর
সার্জিও আগুয়েরোর উল্লাস
সার্জিও আগুয়েরোর উচিত, সহকারী রেফারিকে একটা বড় ধন্যবাদ দেওয়া। নিউক্যাসলের সঙ্গে পরশু ১-১ গোলে ড্র ম্যাচটিতে গোল করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার। একটা বড় অর্জনও হয়েছে এই গোলে, এটি ছিল প্রিমিয়ার লিগে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের শততম গোল। কিন্তু এমন এক বিতর্কিত গোলে এই মাইলফলক, আগুয়েরো যতটা আলোচনায়, তার চেয়ে অনেক বেশি আলোচনার কেন্দ্রে সহকারী রেফারি ডেভ ব্রায়ান! কেন? সেন্ট জেমস স্টেডিয়ামে পরশু ১৪ মিনিটে আলেক্সান্দার কোলারভের ফ্রি কিক থেকে সিটিকে এগিয়ে নেওয়া গোলটি করেন আগুয়েরো। কিন্তু ফ্রি কিক নেওয়ার সময়ে প্রায় দুই-তিন গজ অফসাইডে ছিলেন তিনি। পার্শ্বরেখায় দাঁড়ানো রেফারি ব্রায়ান কেন ‘আলোকবর্ষ’ এগিয়ে থাকা আগুয়েরোকে অফসাইড দিলেন না, ম্যাচশেষে সেটি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সবচেয়ে বেশি আলোচনা। এটিই হয়তো খারাপ লাগতে পারে আগুয়েরোর, বিতর্ক নিয়ে নিশ্চয়ই এমন অর্জনে তিনি পৌঁছাতে চাননি। সিটির জার্সিতে ১৪৭তম ম্যাচে এসে এই দুর্দান্ত অর্জন ‘কুনে’র। প্রিমিয়ার লিগে এর চেয়ে কম ম্যাচে গোলের ‘সেঞ্চুরি’ করতে পেরেছেন শুধু অ্যালান শিয়ারার। নিউক্যাসল ও ব্ল্যাকবার্ন রোভার্স স্ট্রাইকারের লেগেছিল ১২৪ ম্যাচ। গোলপ্রতি মিনিটের হিসাবে অবশ্য শিয়ারার তো বটেই, ‘সেঞ্চুরি’ ক্লাবের বাকি ২৩ জনও আগুয়েরোর পেছনে। গড়ে প্রতি ১০৮.৪ মিনিটে একটি গোল সিটি স্ট্রাইকারের। তারপরও আগুয়েরোকে নিজের অর্জনে উচ্ছ্বসিত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না ম্যাচের ফল। দল যে জিততে পারেনি। তাঁর গোলের ১৭ মিনিট পর অবনমন এড়ানোর সংগ্রামে নামা নিউক্যাসলের হয়ে সমতা নিয়ে আসেন ভারনন আনিতা। ড্রয়ের হতাশা ফুটে উঠেছে আগুয়েরোর টুইটেও, ‘প্রিমিয়ার লিগে শততম গোলের রেকর্ডে অন্য ফলাফল দিয়ে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম। সবার অভিবাদনের জন্য ধন্যবাদ। আমরা লড়াই চালিয়ে যাব।’ এই ড্রয়ে লড়াইটা কঠিন হয়ে গেল আগুয়েরোদের। শিরোপার আশা তো অনেক আগেই শেষ, তিন নম্বরে লিগ শেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগে সরাসরি জায়গা করে নেওয়ার সম্ভাবনাও এখন সংশয়ে। এই ম্যাচ শেষে ৩৪ ম্যাচে ৬১ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানেই ছিল সিটি, তবে সেখান থেকে আজই নেমে যেতে হতে পারে। ওয়েস্ট ব্রমের বিপক্ষে জিতলেই সিটির চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে তিনে উঠে যাবে আর্সেনাল।

No comments

Powered by Blogger.