প্রথম প্রান্তিকে আয় ও মুনাফা বেড়েছে গ্রামীণফোনের

রাজধানীর বসুন্ধরায় গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন (বাঁয়ে)
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব শেঠি
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে। আলোচ্য সময়ে আয় ও মুনাফা দুটোই বেড়েছে গ্রামীণফোনের। বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল বুধবার এসব তথ্য জানানো হয়। রাজধানীর বসুন্ধরায় গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাজীব শেঠিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে জানানো হয়, প্রথম প্রান্তিকে অপারেটরটি আয় করেছে ২ হাজার ৭৬০ কোটি টাকা, যা ২০১৫ সালের প্রথম প্রান্তিকে ছিল ২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৫৬০ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৫৪০ কোটি টাকা। এই তিন মাসে গ্রামীণফোন ১ হাজার ৮০৪টি নতুন থ্রিজি সাইট চালু করেছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির মোট থ্রিজি সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৩৫। আগামী জুনের মধ্যে সারা দেশকে থ্রিজির আওতায় আনতে ১০ হাজার থ্রিজি চালু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে অপারেটরটি। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির থ্রিজি সাইটের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৬১৫। আলোচ্য প্রান্তিকে গ্রামীণফোনের গ্রাহকসংখ্যা হয়েছে ৫ কোটি ৬৩ লাখ। এই সময়ে অপারেটরটির মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারী দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ। রাজীব শেঠি বলেন, দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমরা একটি ভালো প্রান্তিক পার করেছি। ভয়েস কল থেকে অর্জিত আয় যেমন এ প্রান্তিকে বেড়েছে, তেমনি এ সময়ে ৪১ লাখ নতুন ইন্টারনেট গ্রাহক আমাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামো উন্নয়নে এ সময়ে ৯১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে গ্রামীণফোন। আর প্রতিষ্ঠানটি গত তিন মাসে সরকারি কোষাগারে কর, শুল্ক ও লাইসেন্স ফি হিসেবে ১ হাজার ৪২০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, যা কোম্পানির মোট আয়ের ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ।

No comments

Powered by Blogger.