পয়েন্ট পেতে পেতেই হারল শেখ জামাল

মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন শফিকুল ইসলাম মানিক। খেলোয়াড়-সংকটে একাদশ গড়াই যে কঠিন হয়ে পড়েছিল তাঁর জন্য। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও তবু কাল হাসি ফুটতে পারত শেখ জামাল কোচের মুখে। কিন্তু সেটি আর হতে দিল না মালয়েশিয়ার ক্লাব সেলাঙ্গর এফএ। কুয়ালালামপুরে এএফসি কাপে কাল প্রথম পয়েন্ট প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল শেখ জামাল। সেলাঙ্গরের সঙ্গে ১-১ গোলে ম্যাচ যখন শেষের পথে, তখনই ৮৯ মিনিটে প্যাট্রিকের গোলে ম্যাচ জিতে নিয়েছে সেলাঙ্গর (২-১)। ছয় ম্যাচের প্রথম চারটিতেই হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিল বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা। ২৬ এপ্রিল ঢাকায় সিঙ্গাপুরের টেম্পাইনস রোভার্স ও ১০ মে ফিলিপাইনে সে দেশের সেরেস লা সাল্লের বিপক্ষে শেষ দুটি ম্যাচ খেলবে শেখ জামাল। টেম্পাইনস রোভার্সের সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচে ০-৪, ঢাকায় সেরেস লা সাল্লের কাছে ০-২ ও মালয়েশিয়ার এই সেলাঙ্গর এফএর সঙ্গে ঢাকায় দুবার এগিয়েও শেখ জামাল হেরেছিল ৪-৩ গোলে। কাল অবশ্য পিছিয়ে পড়েও ম্যাচে ফিরে আসে শেখ জামাল। ৫৮ মিনিটে সেলাঙ্গর ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু ৬৯ মিনিটে শেখ জামালও হয়ে গেল ১০ জনের দল। ডিফেন্ডার ইয়াসিন দ্বিতীয় কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ১০ জনের দলের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ী সেলাঙ্গর। ১৭ মিনিটে আহমেদ হাজওয়ান বাকরির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল সেলাঙ্গর। ৩৬ মিনিটে সেই গোল শোধ করেছেন শেখ জামালের ল্যান্ডিং দারবোয়ে। জয়সূচক গোলটা আর করতে পারেনি ঢাকার চ্যাম্পিয়নরা, উল্টো গোল খেয়ে হেরে গেল এই ম্যাচেও। চার ম্যাচে ১২ গোল খেয়ে শেখ জামাল করেছে ৪ গোল। টুর্নামেন্টটা দুঃস্বপ্নের মতোই কাটছে তাদের। খেলোয়াড়-সংকট এবং প্রস্তুতির অভাবেই শেখ জামাল মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে না। এই গ্রুপ থেকে ৪ ম্যাচে ২ জয় ও ২ ড্রয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে সেরেস লা সাল্লে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা টেম্পাইনের পয়েন্ট ৭। সমান পয়েন্ট নিয়েও গোল গড়ে তৃতীয় সেলাঙ্গর। সবার নিচে থাকা শেখ জামালের পয়েন্টের খাতা শূন্য।

No comments

Powered by Blogger.