অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে জামালপুরে

পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে পরিচিত জামালপুরে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। এ জন্য ৩০২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে শুরু হয়ে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হবে। জামালপুর সদর উপজেলায় ৪৮৮ একর জমির ওপর এ অর্থনৈতিক অঞ্চল হবে। এ প্রকল্পের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন, কার্যালয়, শুল্ক ভবনসহ বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলে হালকা প্রকৌশল, তৈরি পোশাক, ভোগ্যপণ্য ও খাদ্যসামগ্রী তৈরি করে ভারতের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। এ প্রকল্পটিসহ গতকালের একনেক সভায় ৩ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকার আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে স্থানীয় উৎস থেকে জোগান দেওয়া হবে ১ হাজার ৫৭১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আর প্রকল্প সাহায্য হিসেবে পাওয়া যাবে ১ হাজার ৯১৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। বাস্তবায়নকারী সংস্থা নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে ৯৮ কোটি ৭২ লাখ টাকা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অনুমোদিত প্রকল্পগুলো সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন। একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ১৮৭৮ কোটি টাকার ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম-২য় পর্যায় (এনএটিপি); ৩৪৫ কোটি টাকার মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ বৃদ্ধিকরণ; ৬৬ কোটি টাকার প্রাণিসম্পদ উৎপাদন উপকরণ ও প্রাণিজাত খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণ গবেষণাগার স্থাপন; ৮০০ কোটি টাকার পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের আওতায় ৭০ হাজার ওভারলোডেড বিতরণ ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপন; ৮৯ কোটি টাকার ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং প্রজেক্ট; ৪৭ কোটি টাকার সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ এবং সাড়ে ৫৬ কোটি টাকার গাইবান্ধা-ফুলছড়ি-ভরতখালী-সাঘাটা সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন প্রকল্প।

No comments

Powered by Blogger.