মোহামেডানকে হতাশায় ডোবালেন মুসা

জার্সি খুলেছেন আগেই। এরপর শুরু করলেন আনন্দ-নৃত্য।
ঢাকার মাঠে ব্যতিক্রমী গোল উদ্‌যাপন করলেন মুক্তিযোদ্ধার
নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আবু মুসা
হার দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল মোহামেডান। পরের ম্যাচে জিতলেও তৃতীয় ম্যাচে এসে আবারও হারের বৃত্তে সাদাকালোরা। একসময়ের ঐতিহ্যবাহী দলটি এখন এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে হারটা গা সওয়াই হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম স্বাধীনতা কাপে কাল মোহামেডান ১-২ গোলে হেরেছে মুক্তিযোদ্ধার কাছে। তুলনামূলক দুর্বল দল নিয়েও এই জয়ে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে গেল তিন ম্যাচে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট পাওয়া মুক্তিযোদ্ধা। এবারও মোহামেডান তারুণ্যনির্ভর দল গড়েছে। কিন্তু সেই দলটিই মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে যেতে পারবে কি না, তা নিয়েই এখন সংশয়। ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট, ম্যাচ বাকি দুইটি। মোহামেডানের ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা পুরো ম্যাচেই ছিলেন নিষ্প্রভ। বাঁ প্রান্ত দিয়ে ইউসুফ সিফাত বেশ কয়েকবার আক্রমণে গেছেন, গোলমুখে একাধিকবার ঢুকেছেন মাসুক মিয়া জনিও। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল হয়নি। মুক্তিযোদ্ধা জিতেছে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড আবু মুসার নৈপুণ্যে। ব্রাদার্সের সঙ্গে আগের ম্যাচেও তাঁর একমাত্র গোলে জিতেছিল মুক্তিযোদ্ধা। কালও আহমেদ মুসার দিকে তাকিয়ে ছিল দলটি। হতাশ করেননি মুসা। ৬৫ মিনিটে নিশ্চিত একটা সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধার গোলরক্ষক মামুন খানকে একা পেয়েও ইসমাইল বাঙ্গুরা বল মারলেন তাঁর গায়ে। ৭৩ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে আক্রমণে ওঠা আহমেদ মুসার দারুণ শটে এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। যদিও রেফারি এই গোলটি মুসার নামে দেননি, আত্মঘাতী হিসেবেই দেখিয়েছেন। ৮১ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে রংধনু শটে ২-০ করলেন সেই মুসাই। গোল করেই জার্সি খুলে নাচতে থাকেন। মুসাকে তাই দেখতে হয়েছে হলুদ কার্ড। অতিরিক্ত সময়ে হেডে গোল করে ইসমাইল বাঙ্গুরা শুধু ব্যবধানই কমাতে পারলেন, ততক্ষণে পরাজয় লেখা হয়ে গেছে মোহামেডানের ভাগ্যে। আরামবাগ-বিজেএমসি ড্র: গোল দেওয়ার চেষ্টা ছিল দুই দলের ফুটবলারদেরই। কিন্তু সহজ কিছু সুযোগ নষ্ট করায় আরামবাগ-বিজেএমসির কেউই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি কাল। এই ড্রয়ে ৪ ম্যাচে ১ জয়, ১ ড্র ও ২ হারে ৪ পয়েন্ট বিজেএমসির। ৩ ম্যাচে ১ হার ও ২ ড্রয়ে ২ পয়েন্ট আরামবাগের। ৩২ মিনিটে আরামবাগের ফরোয়ার্ড আবু সুফিয়ান শাকিল বিজেএমসির গোলরক্ষক হিমেলকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। ৮২ মিনিটে বিজেএমসির সোহেল রানা একেবারে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও বারের ওপর দিয়ে বল তুলে দিলেন। ৯০ মিনিটে আরামবাগের আবু সুফিয়ান গোলরক্ষক হিমেলকে কাটিয়েও হাস্যকরভাবে বাইরে মারলেন বল।

No comments

Powered by Blogger.